দৈনিক ক্রাইমসিন নিউজ ডেক্স :
আমাদের দেশে প্রচলিত একটি কথা আছে, সরকারি মাল দরিয়ায় ঢাল। এই কথার বাস্তব চিত্র দেখা যায় হবিগঞ্জের মাধবপুর ও চুনারুঘাট উপজেলার সীমান্তসংলগ্ন সাতছড়ী জাতীয় উদ্যান ও তেলমাছড়া বন বিট এলাকায়।
এখানে বিপুল পরিমাণ মূল্যবান গাছ রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ আইনি জটিলতার অজুহাত দেখালেও তাদের অযত্ন অবহেলাকে দায়ী করছেন সচেতন নাগরিক সমাজ। ।
সেগুন, আকাশমণি সহ বিভিন্ন প্রজাতির মূল্যবান এসব গাছ বিভিন্ন সময়ে সংঘবদ্ধ চোর চক্রের হাত থেকে উদ্ধার করে এখানে রাখা হয়েছে। এরপর আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় বছরের পর বছর ধরে এখানে পড়ে আছে এসব কাঠ।ফলে রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে অযত্ন অবহেলায় পড়ে থাকা শতশত ফুট মূল্যবান কাঠ পচে মাটির সাথে মিশে গেছে। বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, ডাক্তার আসিবার পূর্বে রুগী মরিয়া গেল।
এক্ষেত্রে কথাটা হবে, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা শেষ হওয়ার আগেই সব গাছ পচে মাটির সাথে মিশে গেল। অথচ এই গাছগুলো উদ্ধারের সাথে সাথেই যদি নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করে দেওয়া হতো, তাহলে সরকারি কোষাগারে বিপুল অংকের রাজস্ব জমা হতো, পাশাপাশি গাছগুলো কাজে লাগতো। এখানে বেড়াতে এসে এসব দেখে মাধবপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য ইয়াসিন তন্ময় বলেন, এই কোটি কোটি টাকার সম্পদ যে নষ্ট হচ্ছে এর জন্য একে অন্যের উপর দায় চাপিয়ে বসে আছেন কর্তৃপক্ষ।
ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট বলবে মামলা চলছে দীর্ঘদিন যাবত আমাদের কি করার আছে?সরকারি উকিল বলবে আসামি পক্ষ বারবার সময় নিয়ে মামলায় বিলম্ব করেছে এখানে আমার কোন দোষ নেই। আসামি পক্ষের আইনজীবী বলবে আমার মক্কেলকে ন্যায় বিচার দেওয়ার জন্য আমার প্রস্তুতি নিতে গিয়ে দেরি হয়েছে। বন বিভাগের লোকজন কেন সঠিকভাবে সংরক্ষণ করেনি এই গাছগুলো। সবকিছু দেখে শুনে বুঝে মনে হয়, কারুর কোন দোষ নেই, সবই বাংলাদেশের মানুষের কপালের দোষ।
এ ব্যাপারে সহকারী বন সংরক্ষক হবিগঞ্জ, মো: তারেক রহমান জানান, সাতছড়ী ও তেলমাছড়া বন বিট আমাদের অধিনে নেই তাই এব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারবো না। সাতছড়ী বন বিট এর রেঞ্জ অফিসার মো: আল আমিন জানান, বিভিন্ন সময়ে গাছ চোরদের নিকট থেকে এসব গাছ উদ্ধার করে এখানে রাখা হয়েছে। মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা বিভিন্ন সময়ে আদালতে আবেদন করেছি কিন্তু অনুমতি না পেলেতো কিছু করা সম্ভব না।
আরও পড়ুন ….