জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সরকারের মাথা ব্যথা নেই দাবি করে ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র নেই বলেই জনগণের কাছে তাদের জবাবদিহি নেই। আর জবাবদিহি নেই বলেই ক্ষমতাসীনরা দেশের ন্যায্য হিস্যা আদায়ে ব্যর্থ হয়েছে।
তাদের লক্ষ্য একটাই, সেটা হলো জোর করে হলেও ক্ষমতায় টিকে থাকতে হবে। ক্ষমতায় থাকতে তারা যা খুশি তাই করছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের মানুষকে টিকে থাকতে হলে গণতন্ত্র ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।
দেশের ভেতরের বিশেষ করে ঢাকার আশপাশের নদী দখলের জন্য ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা জড়িত বলেও দাবি করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনদের প্রশ্রয়ে তাদের লোকজনই নদীগুলো দখল করছে।
এ ছাড়া বর্তমান সরকার উন্নয়নের ঢাকঢোল বাজায় প্রতিনিয়ত। কিন্তু নদী পরিশুদ্ধ করার বা নদীগুলোকে সঠিকভাবে প্রবাহিত করার সুযোগ করার জন্য তাদের কোনো পরিকল্পনা এখন পর্যন্ত আমার চোখে পড়েনি।
দৈনিক ক্রাইমসিন পড়ুন আপনার প্রতিষ্টানের বিশ্ব ব্যাপি প্রচারের জন্য বিজ্ঞাপন দিন
মির্জা ফখরুল বলেন, লন্ডনে গেলে দেখবেন, তারা টেমস নদী কীভাবে পরিশুদ্ধ করেছে।
ফলে এত বড় একটা শহর হওয়া সত্ত্বেও টেমস নদীর পানি এতটুকু দূষিত হয়নি। অথচ আমাদের বুড়িগঙ্গার পাশ দিয়ে যাওয়া যায় না। দুর্গন্ধের কারণে নদীর ওপর দিয়ে যাওয়া তো দূরের কথা, পাশ দিয়েও যাওয়া যায় না।
আর তুরাগে গেলে দেখা যায় তুরাগ মরে গেছে! এখন শুরু হয়েছে ধলেশ্বরী ও শীতলক্ষ্যা। এগুলোও মৃত্যুর দিকে চালে যাচ্ছে! এ ছাড়া সাভার ও ধামরাইয়ে ছোট ছোট যে নদীগুলো আছে, সেগুলোও ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের জীবন-জীবিকার সঙ্গে যে বিষয়গুলোর অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক, সেগুলোকে আমরা নিজেরাই ধ্বংস করছি। তিস্তা নিয়ে সরকার ভারতের সঙ্গে কোনো কথা বলেনি।
ফলে উত্তরাঞ্চল মরুভূমিতে রূপান্তর হতে যাচ্ছে। সরকার ন্যায্য হিস্যা নিয়ে কোনো প্রতিবাদ করে না, বরং টিপাইমুখ নিয়ে প্রতিবাদ করায় হয়তো বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হয়েছেন।