1. salmankoeas@gmail.com : admin :
আমি বাঁচতে চাই। পৃথিবীর আলো-বাতাসে আমি আমার সন্তানকে নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই!  - দৈনিক ক্রাইমসিন
সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ০২:৩৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
সড়ক দুর্ঘটনায় পঙ্গু বকুলের পাশে দাঁড়ালেন উপজেলা প্রশাসক ইমরানুজ্জামান কর্মীবান্ধব নেতা ইঞ্জিনিয়ার সাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনদাঁড়ালো অসুস্থ শ্রমিক দল নেতার পাশে শিক্ষার আলো ছড়ানো সেই ছনের ঘর, আজকের মাদরাসায় সংবর্ধিত সৈয়দ মো. ফয়সল মাদ্রাসার ৪ একর জায়গা অবৈধ্য দখলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত। মাধবপুরে ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারী আটক। মাধবপুরে শ্রমিক ইউনিয়ন এর সমাবেশ দেওয়ানগঞ্জে নেপাল-বাংলাদেশ এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেলেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শফিকুল ইসলাম বাদল র‌্যাব-১৩ এর অভিযানে ১৪৯ বোতল ফেন্সিডিলসহ ১ জন মাদকব্যবসায়ী গ্রেফতার ফুলবাড়ীতে আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল ওলামার কমিটি গঠন ফুলবাড়ীতে এসএসসি পরীক্ষায় পাশের হার ৬২.২৭ শতাংশ। জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৫১জন

Join 2 other subscribers

আমি বাঁচতে চাই। পৃথিবীর আলো-বাতাসে আমি আমার সন্তানকে নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই! 

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১৩১ Time View

আমি বাঁচতে চাই। পৃথিবীর আলো-বাতাসে আমি আমার সন্তানকে নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই!

বাদশা প্রামানিক, নীলফামারী প্রতিনিধি

হতদরিদ্র ভ্যানচালকের একমাত্র ছেলে রিয়াদ। পশ্চিম ছাতনাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র। স্বপ্ন ছিল লেখাপড়া করে মানুষের মত মানুষ হওয়ার। হতদরিদ্র পিতা মাতার মুখে হাসি ফুটানোর। কিন্তু সেটা আর হলো না! মাত্র ৮ বছর বয়সেই রিয়াদের  শরীরে বাসা বেঁধেছে জটিল ও কঠিন কিছু রোগ। ডাক্তারি পরীক্ষা  নিরীক্ষায় ধরা পড়েছে হার্টে ছিদ্র, দুইটি বাল্বের একটি অকেজো এছাড়া হার্টের রক্তনালী শুকিয়ে গেছে। রিয়াদ দীর্ঘদিন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটালের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মো. নুরুল আক্তার হাসানের তত্ত্বাবধানে ছিলো। তাদের অভিমত তার দুইটি মেজর অপারেশন করাতে হবে। দেশের বাহিরে ওই অপারেশনগুলো করালে ভালো হয়।

রিয়াদ আবারো স্কুলে গিয়ে সহপাঠিদের সঙ্গে বসে লেখাপড়া করতে চায়।  সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা পেলে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফেরার পাশাপাশি লেখাপড়া করে বড় কিছু হওয়ার স্বপ্ন দেখছে এখনো।

রিয়াদ নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার  পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডস্থ বারোবিশা গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে।

রিয়াদের বাবা মো. শরিফুল ইসলাম পেশায় একজন ভ্যানচালক। জমিজমা বলতে শুধু বাড়িভিটা। ওই ভিটাতেই জরাজীর্ণ একটি টিনশেড ঘরে বসবাস তাদের। ইতিমধ্যে ছেলের চিকিৎসা খরচ জোগাতে কিছু জমি বিক্রিও করেছেন পিতা শরিফুল ইসলাম।  এখন সহায়-সম্বল বলতে বসতভিটার ওই দুটি টিনসেটের চালাঘর। হত-দরিদ্র বাবা তার অক্ষমতাকে দায়ী করে ছেলের চিকিৎসার খরচ যোগাতে না পেরে কান্নাকে পুঁজি করে নিয়েছেন। আর আল্লাহকে ডাকছেন।

স্থানীয়রা বলছেন, রিয়াদ সর্বদাই  হাস্যজ্জ্বল ও চঞ্চল প্রকৃতির ছিল। টাকার অভাবে চিকিৎসা অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় তার স্বপ্নও থমকে গেছে। আর বাবা-মা শুধুমাত্র চোখের জল ফেলছে।  রিয়াদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন প্রায় ১৫-১৮ লাখ টাকা। কিন্তু তার হতদরিদ্র পিতা-মাতার পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয়। পরিবারেও বিত্তশালী কেউ নেই, যে তাকে সাহায্য করবে। রিয়াদের অসুস্থতা পরিবারের সকলকে দুঃখের সাগরে ফেলে দিয়েছে। আমরা স্থানীয়ভাবে সহযোগীতার চেষ্টা করেছি। রিয়াদের চিকিৎসায় সকলের সহযোগীতা প্রত্যাশা করছি।

শিশু রিয়াদ বলেন, যখন ব্যাথা উঠে তখন খুব কষ্ট হয়। এ কষ্ট সহ্য করার মতো নয়। আমি অসুস্থ থাকতে চাই না। আমি বাঁচতে চাই। আমি স্কুলে গিয়ে সহপাঠিদের সঙ্গে লেখাপড়া করতে  চাই। আমি সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে চাই।আমার প্রতি দয়া করুন। আমাকে বাঁচতে সহযোগীতা করুন।

”আমি বাঁচতে চাই। পৃথিবীর আলো-বাতাসে আমি আমার সন্তানকে নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই”। সন্তানের জীবন রক্ষায় চিকিৎসা সহায়তার জন্য এভাবেই করুণ আকুতি জানিয়েছেন  শিশু রিয়াদের বাবা শরিফুল ইসলাম। তার ভাষ্য মতে, রিয়াদ পড়ালেখায় ভালো ছিল। স্কুলের পাশাপাশি সকালে মাদ্রাসায় যেতেও সে। অত্যন্ত হাস্যজ্জল ও কর্মচঞ্চল এবং দুরন্ত প্রকৃতির ছেলে ছিল রিয়াদ। ছেলেটি এখন অসুস্থ হয়ে পড়ে আছে। স্বাভাবিকভাবে তাকে সুস্থ দেখা গেলেও হঠাৎ করে তার শরীরে ব্যাথা শুরু হয়ে যায়। খাবার খেতে কষ্ট হয়। খাবার বমি হয়ে বের হয়ে যায়। পেটসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যাথা সহ্য করা তার জন্য কষ্ট হয়ে পড়ে। ছেলেটিকে সুস্থ করতে আত্মীয়-স্বজনদের কাছে হাত পেতেছি। সবাই সাধ্যমতো সহযোগীতা করেছে।

তিনি আরও বলেন, এখানকার ডাক্তারেরা বলেছে অপারেশন করালে বাঁচার নিশ্চয়তা কম। তাই রিয়াদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের নারায়ণা হাসপাতালের ডাঃ দেবী শেঠীর কাছে নিয়ে যেতে চাই। আমি তো দরিদ্র মানুষ! রিয়াদের দুটি মেজর অপারেশন করাতে এতে প্রায় ১৫ থেকে ১৮ লাখ টাকা খরচ হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। কিন্তু এতো টাকা খরচ করার মতো শক্তি সামর্থ্য আমার নেই। আমার একমাত্র শিশু সন্তানের চিকিৎসা করাতে সমাজের বিত্তবান, দয়াবান ও দানশীল ব্যক্তিদের সহযোগীতা প্রয়োজন। শিশু সন্তান রিয়াদকে সুস্থ ও হাসি-খুশি দেখতে সর্বস্তরের মানুষের কাছে আকুতি জানিয়েছেন বাবা-মা।

সহযোগীতার জন্য ব্যক্তিগত (১) ০১৭৭৩৯৯০২৪৫ (নগদ) এবং নগদ ও বিকাশ (২) ০১৭৭৭৯৪৬১৪৭ নাম্বারে সাহায্য পাঠাতে পারেন।


Discover more from দৈনিক ক্রাইমসিন

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2023 দৈনিক ক্রাইমসিন
Theme Customized BY ITPolly.Com

Discover more from দৈনিক ক্রাইমসিন

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading