1. salmankoeas@gmail.com : admin :
আমি বাঁচতে চাই। পৃথিবীর আলো-বাতাসে আমি আমার সন্তানকে নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই!  - দৈনিক ক্রাইমসিন
রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
দেওয়ানগঞ্জে জিল বাংলা সুগার মিলস লিঃ ৬৭ তম আখ মাড়াই শুভ উদ্বোধন সিংড়ায় বাস চাপায় ভ্যানচালক নিহত মাধবপুরে আওয়ামী লীগ নেতা তুষার বাহিনীর খুঁটির জুড় কোথায়? রেলওয়েতে এক কর্মচারীর ৭ মাস ধরে বেতন ভাতা বন্ধ, নেপথ্যে পিডাব্লিআই সাইফুল্লাহ রিয়াদ মাধবপুরে নি★ষি-দ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা গ্রেফতার পটুয়াখালী ভার্সিটিতে, বইয়ের মোড়ক উন্মোচন।।  নন্দীগ্রামে আমন ধান ও চাল সংগ্রহের উদ্বোধন ডিমলায় কালোবাজারে সার বিক্রির দায়ে ডিলারকে ৫২০০০ টাকা জরিমানা ডিমলায় ৫ কর্মকর্তা দিয়ে চলছে ১০ভূমি অফিস। ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ। দুমকীতে বাঁশ দিয়ে মামাতো ভাইয়ের মাথা ফাটিয়ে দেয়ার অভিযোগ।।

আমি বাঁচতে চাই। পৃথিবীর আলো-বাতাসে আমি আমার সন্তানকে নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই! 

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৭৫ Time View

আমি বাঁচতে চাই। পৃথিবীর আলো-বাতাসে আমি আমার সন্তানকে নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই!

বাদশা প্রামানিক, নীলফামারী প্রতিনিধি

হতদরিদ্র ভ্যানচালকের একমাত্র ছেলে রিয়াদ। পশ্চিম ছাতনাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র। স্বপ্ন ছিল লেখাপড়া করে মানুষের মত মানুষ হওয়ার। হতদরিদ্র পিতা মাতার মুখে হাসি ফুটানোর। কিন্তু সেটা আর হলো না! মাত্র ৮ বছর বয়সেই রিয়াদের  শরীরে বাসা বেঁধেছে জটিল ও কঠিন কিছু রোগ। ডাক্তারি পরীক্ষা  নিরীক্ষায় ধরা পড়েছে হার্টে ছিদ্র, দুইটি বাল্বের একটি অকেজো এছাড়া হার্টের রক্তনালী শুকিয়ে গেছে। রিয়াদ দীর্ঘদিন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটালের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মো. নুরুল আক্তার হাসানের তত্ত্বাবধানে ছিলো। তাদের অভিমত তার দুইটি মেজর অপারেশন করাতে হবে। দেশের বাহিরে ওই অপারেশনগুলো করালে ভালো হয়।

রিয়াদ আবারো স্কুলে গিয়ে সহপাঠিদের সঙ্গে বসে লেখাপড়া করতে চায়।  সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা পেলে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফেরার পাশাপাশি লেখাপড়া করে বড় কিছু হওয়ার স্বপ্ন দেখছে এখনো।

রিয়াদ নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার  পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডস্থ বারোবিশা গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে।

রিয়াদের বাবা মো. শরিফুল ইসলাম পেশায় একজন ভ্যানচালক। জমিজমা বলতে শুধু বাড়িভিটা। ওই ভিটাতেই জরাজীর্ণ একটি টিনশেড ঘরে বসবাস তাদের। ইতিমধ্যে ছেলের চিকিৎসা খরচ জোগাতে কিছু জমি বিক্রিও করেছেন পিতা শরিফুল ইসলাম।  এখন সহায়-সম্বল বলতে বসতভিটার ওই দুটি টিনসেটের চালাঘর। হত-দরিদ্র বাবা তার অক্ষমতাকে দায়ী করে ছেলের চিকিৎসার খরচ যোগাতে না পেরে কান্নাকে পুঁজি করে নিয়েছেন। আর আল্লাহকে ডাকছেন।

স্থানীয়রা বলছেন, রিয়াদ সর্বদাই  হাস্যজ্জ্বল ও চঞ্চল প্রকৃতির ছিল। টাকার অভাবে চিকিৎসা অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় তার স্বপ্নও থমকে গেছে। আর বাবা-মা শুধুমাত্র চোখের জল ফেলছে।  রিয়াদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন প্রায় ১৫-১৮ লাখ টাকা। কিন্তু তার হতদরিদ্র পিতা-মাতার পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয়। পরিবারেও বিত্তশালী কেউ নেই, যে তাকে সাহায্য করবে। রিয়াদের অসুস্থতা পরিবারের সকলকে দুঃখের সাগরে ফেলে দিয়েছে। আমরা স্থানীয়ভাবে সহযোগীতার চেষ্টা করেছি। রিয়াদের চিকিৎসায় সকলের সহযোগীতা প্রত্যাশা করছি।

শিশু রিয়াদ বলেন, যখন ব্যাথা উঠে তখন খুব কষ্ট হয়। এ কষ্ট সহ্য করার মতো নয়। আমি অসুস্থ থাকতে চাই না। আমি বাঁচতে চাই। আমি স্কুলে গিয়ে সহপাঠিদের সঙ্গে লেখাপড়া করতে  চাই। আমি সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে চাই।আমার প্রতি দয়া করুন। আমাকে বাঁচতে সহযোগীতা করুন।

”আমি বাঁচতে চাই। পৃথিবীর আলো-বাতাসে আমি আমার সন্তানকে নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই”। সন্তানের জীবন রক্ষায় চিকিৎসা সহায়তার জন্য এভাবেই করুণ আকুতি জানিয়েছেন  শিশু রিয়াদের বাবা শরিফুল ইসলাম। তার ভাষ্য মতে, রিয়াদ পড়ালেখায় ভালো ছিল। স্কুলের পাশাপাশি সকালে মাদ্রাসায় যেতেও সে। অত্যন্ত হাস্যজ্জল ও কর্মচঞ্চল এবং দুরন্ত প্রকৃতির ছেলে ছিল রিয়াদ। ছেলেটি এখন অসুস্থ হয়ে পড়ে আছে। স্বাভাবিকভাবে তাকে সুস্থ দেখা গেলেও হঠাৎ করে তার শরীরে ব্যাথা শুরু হয়ে যায়। খাবার খেতে কষ্ট হয়। খাবার বমি হয়ে বের হয়ে যায়। পেটসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যাথা সহ্য করা তার জন্য কষ্ট হয়ে পড়ে। ছেলেটিকে সুস্থ করতে আত্মীয়-স্বজনদের কাছে হাত পেতেছি। সবাই সাধ্যমতো সহযোগীতা করেছে।

তিনি আরও বলেন, এখানকার ডাক্তারেরা বলেছে অপারেশন করালে বাঁচার নিশ্চয়তা কম। তাই রিয়াদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের নারায়ণা হাসপাতালের ডাঃ দেবী শেঠীর কাছে নিয়ে যেতে চাই। আমি তো দরিদ্র মানুষ! রিয়াদের দুটি মেজর অপারেশন করাতে এতে প্রায় ১৫ থেকে ১৮ লাখ টাকা খরচ হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। কিন্তু এতো টাকা খরচ করার মতো শক্তি সামর্থ্য আমার নেই। আমার একমাত্র শিশু সন্তানের চিকিৎসা করাতে সমাজের বিত্তবান, দয়াবান ও দানশীল ব্যক্তিদের সহযোগীতা প্রয়োজন। শিশু সন্তান রিয়াদকে সুস্থ ও হাসি-খুশি দেখতে সর্বস্তরের মানুষের কাছে আকুতি জানিয়েছেন বাবা-মা।

সহযোগীতার জন্য ব্যক্তিগত (১) ০১৭৭৩৯৯০২৪৫ (নগদ) এবং নগদ ও বিকাশ (২) ০১৭৭৭৯৪৬১৪৭ নাম্বারে সাহায্য পাঠাতে পারেন।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

আপনার প্রতিষ্টানের বিশ্বব্যাপি প্রচারের জন্য বিজ্ঞাপন দিন

© All rights reserved © 2023 দৈনিক ক্রাইমসিন
Theme Customized BY ITPolly.Com