1. salmankoeas@gmail.com : admin :
কাজে ফিরে খুশি চা শ্রমিকরা - দৈনিক ক্রাইমসিন
বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:১৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
নীলফামারীতে আরচ্যারী প্রতিযোগিতা ২০২৫ অনুষ্ঠিত ফুলবাড়ী উপজেলা প্রশাসনের অভিযানে অবৈধ বালুমহলে দুইজনকে ১ লাখ টাকা জরিমানা নীলফামারীতে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষমবৃদ্ধি ছাত্র আন্দোলনের লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামিকে খালাস দুমকী উপজেলায়, কৃষক দলের কৃষক সমাবেশ।। ডিমলা পরিদর্শনে নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান। প্রি-পেইড মিটার লাগানো বন্ধের দাবিতে ফুলবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের লোগো ব্যবহার করে নকল বস্তায় ভারতীয় চিনি বিক্রি বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করে যা জানাল ভারত বছরের মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচন চায় বিএনপি

কাজে ফিরে খুশি চা শ্রমিকরা

স্টাফ রিপোর্টার :
  • Update Time : বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৩৪ Time View

স্টাফ রিপোর্টার :

সকাল থেকে সবকিছু গুছিয়ে শীতকে উপেক্ষা করে সবুজ চা বাগানে কাজের মধ্যে যোগ দিয়েছেন হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ২ টি চা বাগান সহ ১২ বাগানের ১৫ হাজার শ্রমিক।তিন মাস ধরে বাগান বন্ধ থাকায় শ্রমিক পরিবারে তীব্র অভাব দেখা দেয়।তহবিল সংকটে গত তিন মাস ধরে শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছিলনা।

পরে এনটিসি সদর দপ্তর বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক থেকে ঋন অনুমোদন করে গত সোমবার শ্রমিকদের দু সপ্তাহের হাজিরা পরিশোধ করেছে।টাকা পেয়ে শ্রমিকরা মঙ্গলবার সকাল থেকে সবুজ চা বাগানে কাজের ছড়িয়ে পড়েছেন।সিলেট বিভাগের সিলেট মৌলভীবাজার,ও হবিগঞ্জ এনটিসির লাক্কাতুরা, প্রেমনগর, বিজয়া, মাধবপুর মদনমোহনপুর, পাত্রখোলা, চাম্পারায়, চন্ডিছড়া, জগদীশপুর সাতছড়ি, নাসিমাবাদ,তেলিয়াপাড়া, জগদীশপুর, পারকুল সহ ১২ টি বাগানে ১৫ হাজার নিয়িমিত শ্রমিক রয়েছে।

১৯৭৮ সালে ১২ টি নিয়ে ন্যাশনাল টি কোম্পানি গঠিত হওয়ার ১২ টি বাগানে দীর্ঘ সময় একটানা তিন মাস বন্ধ হয়নি। সরকার শেয়ার ৫১ শতাংশ এবং পাবলিক শেয়ার ৪৯ শতাংশ। গত ২০১০ সালে থেকে এনটিসি চা বাগানে লোকসান হচ্ছে।চায়ের উৎপাদন খরছ বাড়ায় নিলাম বাজারে চায়ের ভাল দর মিলছেনা।

এনটিসি কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান শেখ কবির সহ অনেক পরিচালক পদত্যাগ করেন। এরপর এনটিসির ১২ বাগানে তহবিল সংকট দেখা দেয়।

টাকার অভাবে শ্রমিকের বেতন সহ যাবতীয় ব্যয় বন্ধ হয়ে যায়।ফলে গত সেপ্টেম্বর থেকে ৯  ডিসেম্বর পর্যন্ত বাগান বন্ধ থাকে।অবশেষে সদর দপ্তর ব্যাংক থেকে টাকা ঋন শ্রমিক ও কর্মচারীরা দেনা পরিশোধ করেছে।গত তিন মাস বাগানে কাজ না হওয়ায় ১৫ লাখ কেজি চা পাতা উৎপাদন করা যায়নি।

বাগান খোলার পরও বাগান নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে চিন্তা দুর হয়নি। এ নিয়ে শ্রমিকদের ভাষ্য হচ্ছে শ্রমিক বাগানে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করেন। তাদের মুজুরি সহ অন্যান্য সুবিধা খুব বেশি নয়।

এরপরও তারা চান বাগান যেন চালু থাকে।কিন্তু কোম্পানি বছর বছর লেকসান করলে ফের বড় সমস্যায় পড়তে পারে।অতএব আগ থেকে বাগান উন্নয়নে চিন্তা করলে বাগান বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি রামভজন কৈরি বলেন,এনটিসির ১২ বাগান সহ দেশের সবকটি বাগানে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।বাগান ও শ্রমিকদের বাঁচিয়ে রাখতে হলে মালিক সহ সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।টাকার অভাব। এনটিসি বাগান বন্ধ থাকায় শ্রমিকদের অনেক কষ্ট হয়েছে।

বাগানেও অনেক লোকসান হয়েছে।এনটিসি ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন এনটিসি সুদিন ফিরিয়ে আনতে নানামুখী চিন্তা করছি।আশা করি শ্রমিক ককর্মচারী ও সরকারের সহযোগিতায় এনটিসি আবার লাভের মুখ দেখবে।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2023 দৈনিক ক্রাইমসিন
Theme Customized BY ITPolly.Com