রাজধানী ডেস্ক: আফগানিস্তানের সরকারিবাহিনীর প্রতিরোধ ভেঙে পড়ছে। এর ফলে একের পর এক এলাকা তালেবানের দখলে চলে যাচ্ছে। দেশটির ৩৪টি প্রদেশের ১৮টির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সশস্ত্র সংগঠন তালেবান। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, যেকোনো দিন তালেবানের যোদ্ধারা কাবুলে ঢুকে যেতে পারে। গতকাল শুক্রবার মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, তালেবানরা কাবুলকে অবরুদ্ধ করার চেষ্টা করছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, সর্বশেষ যে শহরগুলোর পতন হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম কান্দাহার। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক কেন্দ্র হয়েছে পরিচিত এই শহর।
এ ছাড়া হেরাতও চলে গেছে তালেবানের দখলে। ইরানের সীমান্তবর্তী এই শহরে প্রায় ৬ লাখ মানুষের বসবাস। সেখানকার বাসিন্দাদের অবস্থা তুলে ধরে হাশিমি বলেন, অনেক পরিবার এই শহর ছেড়ে গেছে। আর যারা আছে, তারা বাড়ির মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে।
আফগানিস্তানের বড় বড় শহর তালেবানের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ার পর এখন দৃষ্টি কাবুলে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা এমন সময়ে এই সতর্কবার্তা দিচ্ছেন, যখন মার্কিন কূটনীতিকদের আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ জন্য অতিরিক্ত তিন হাজার সেনা আফগানিস্তানে পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া নিজ দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে একই ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাজ্য।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহার ও তৃতীয় বৃহত্তম শহর হেরাত এখন তালেবানের দখলে। গতকালও কয়েকটি শহর দখলে নেয় তালেবান। নতুন দখল করা শহরগুলোর মধ্যে রয়েছে কালাত, তেরেনকোট, পুল-ই-আলম। পুল-ই-আলম। কাবুল থেকে মাত্র ৩০ মাইল দূরে। প্রাদেশিক রাজধানীগুলো দখলের পর তালেবান বাহিনী এখন কাবুল দখলের লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে।