মোঃ বাদশা প্রামানিক নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও সম্পূর্ণ মিথ্যা আখ্যা দিয়েছেন তার ভাগ্নে এবং নীলফামারী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন।
১৮ বছর ২ মাস পর দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে রোববার (১৮ মে) বিকেলে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিমলা উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ মনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক বদিরুজ্জামান রানা ও সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রব্বানী প্রধানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ওই অনুষ্ঠানে প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন বলেন, “খালেদা জিয়ার নামে ২ কোটি টাকার আত্মসাতের মামলা দেওয়া হয়েছিল।
অথচ সেই টাকা কেউ আত্মসাৎ করেনি। বরং ওই অর্থ এখনো ব্যাংকে রয়েছে এবং সুদে-আসলে তা বেড়ে প্রায় ৬ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “এই মিথ্যা মামলায় তাকে অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে দীর্ঘদিন কারাবন্দী রাখা হয়েছিল।
বাস্তবে যে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছিল, তার কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই। এটি ছিল একটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফসল।” পতিত সরকারের সমালোচনা করে তুহিন বলেন, “বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দেওয়া হয়েছে।
কোনো গ্রহণযোগ্য প্রমাণ ছাড়াই তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে, যা বিচার ব্যবস্থার ওপর প্রশ্ন তোলে।” নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “এখানে উপস্থিত অনেক নেতাকর্মী হামলা, গুম ও মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন। কেউ রাতে বাড়িতে ঘুমাতে পারেননি। এই দমন-পীড়নের শাসনব্যবস্থাকে আমরা ঘৃণা করি।
দেশের জনগণ একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা চায়, যেখানে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার গঠিত হবে।” বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “সরকার এখন নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করছে। প্রয়োজনে জনগণ এই সরকারের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াবে।
আরওপড়ুন ….নন্দীগ্রামে এমএইচ কলেজ ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল
বিএনপি সব সময় একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পক্ষে এবং এজন্য আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছি।” তিনি আরও মন্তব্য করেন, “সরকারের ভেতরে কিছু ‘ভূত’ আছে, যারা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আমরা সংঘাত চাই না, শান্তিপূর্ণ গণতন্ত্র চাই। ১৬ বছরের দুঃশাসন আর নির্যাতনের পুনরাবৃত্তি হতে দেওয়া যাবে না।
” অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নীলফামারী জেলা সভাপতি আ.খ.ম আলমগীর সরকার, বিশেষ অতিথি হিসেবে সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম, ডিমলা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক রইসুল আলম চৌধুরী, ডিমলা উপজেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি আরিফ-উল ইসলাম লিটন প্রমুখ।
Subscribe to get the latest posts sent to your email.