২৫ আগষ্ট (শুক্রবার ) বিকাল ৩:০০ ঘটিকার সময় হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মলেন কক্ষে চাঞ্চল্যকর ০২টি মামলার ধৃত আসামি ও রহস্য উদঘাটন প্রসঙ্গে জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাথে প্রেস ব্রিফিং করেন জেলার পুলিশ সুপার জনাব এস এম মুরাদ আলি।
ব্রিফিং কালে আরো উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ শামসুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস), হবিগঞ্জ, জনাব পলাশ রঞ্জন দে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বানিয়াচং সার্কেল), হবিগঞ্জ, জনাব মোঃ খলিলুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল), হবিগঞ্জ, জনাব নির্মলেন্দু চক্রবর্তী, সহকারী পুলিশ সুপার (মাধবপুর সার্কেল), হবিগঞ্জ, অফিসার ইনর্চাজ, শায়েস্তাগঞ্জ থানা, অফিসার ইনর্চাজ, মাধবপুর থানাসহ জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সদস্যগণ।
এ সময় পুলিশ সুপার মহোদয় প্রেস ব্রিফিং এ জানান, হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ ও চুনারুঘাট থানা এলাকায় বিগত কয়েক দিন যাবত বিভিন্ন বাসা বাড়ীতে জানালা দিয়ে চেতনানাশক স্প্রে ছিটিয়ে বিভিন্ন বাসা বাড়ীর লোকজনদেরকে অচেতন করে তাদের বাসা বাড়ীর মালামাল চুরি করার ঘটনা ঘটে। তারই ধারাবাহিকতায় শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশ থানার আওয়াতাধীন সকল এলাকায় সচেতনামূলক মাইকিং, বিট পুলিশ, কমিউনিটি পুলিশিং, অপরাধ সভা ও বিভিন্ন ধরণের সর্তকতামূলক সভা এবং মসজিদ, মন্দিরে সর্তকতামূলক আলোচনা করে এবং থানা এলাকায় দিবা/রাত্রীকালিন ডিউটি বৃদ্ধিসহ রাত্রিকালীন হোন্ডা মোবাইল ডিউটি শুরু করে
তারই সুফল হিসেবে ২৪/০৮/২০২৩খ্রিঃ তারিখে রাত অনুমান ০১.৩০ ঘটিকার সময় চেতনানাশক স্প্রে পার্টির সদস্য (চোর) মোঃ ফারুক, পিতা-আব্দুল শহিদ @ কনু মিয়া, সাং-গোবরখলা, থানা-চুনারুঘাট, জেলা-হবিগঞ্জকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার অন্তর্গত পুরান বাজার সাকিন হতে আটক করা হয়।
আটককৃত ব্যক্তির বাসায় অভিযান চালিয়ে ০২টি গ্রীল কাটার মেশিন, চাইনিজ কুড়াল ০১টি, লোহার প্লাস ০১ টি, সিসি ক্যামেরা ০২ টি, রাউটার ০১ টি, চাবির চড়া ০১ টি, চেতনানাশক মিশ্রিত মেডিসিন এর বোতল ০৪টি, আরো অন্যান্য মালামাল সামগ্রী পাওয়া যায়। উক্ত আসামীর দেওয়া তথ্য মোতাবেক চেতনানাশক স্প্রে পার্টির অন্যান্য সদস্যদের আটক করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।
এছাড়াও মাধবপুর থানার মামলা নং-২৮, তারিখ-২০/০৭/২০২৩ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড এর ভিকটিম মোঃ বাবুল মিয়া (৪৮) পিতা মৃত-ছায়েব আলী সরদার, সাং-ইটাখোলা, ০৯ নং নোয়াপাড়া ইউ/পি, থানা-মাধবপুর, জেলা-হবিগঞ্জ এর হত্যাকারী সদস্যদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে অত্র হবিগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার জনাব এস এম মুরাদ আলি সার্বক্ষনিক তদারকি এবং দিক নির্দেশনা মোতাবেক মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার ঘটনার রহস্য উদঘাটন এবং ঘটনার সাথে জড়িত প্রকৃত আসামীদের গ্রেফতারের জন্য মাধবপুর থানা পুলিশসহ জেলা গোয়েন্দা শাখা বিভিন্ন কার্যক্রম পলিচালনা করে।
এর সুফল হিসেবে জেলা পুলিশ লাল মিয়া (৫০), পিতা-চেরাগ আলী, সাং-কালিনগর, ৫নং সানখোলা ইউপি, থানা-চুনারুঘাট, জেলা-হবিগঞ্জকে আটক করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত লাল মিয়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের সাথে প্রতক্ষ্যভাবে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরবর্তীতে তাকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হলে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় সে নিজেকে জড়িয়ে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ১। মোঃ বশির মিয়া, পিতা-আব্দুল মন্নাফ, সাং-কালিনগর, ২। আব্দুল কাইয়ুম, পিতা-আব্দুল মতিন, ৩। আব্দুল জব্বার, পিতা-সৈয়বুল্লা, উভয় সাং-পানছড়ি আশ্রয়ন, ৪। জিলু মিয়া, পিতা-আব্দুল আহাদ, সাং-কলিনগর, ৫। সবুজ মিয়া, পিতা-তোতা মিয়া, সাং-উত্তর কালিনগর, সর্বথানা-চুনারুঘাট, জেলা-হবিগঞ্জ সহ আরো কয়েকজন আসামীদের নাম প্রকাশ করে জবানবন্দি দেয়।
আসামীর দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি অনুসারে পুলিশ সুপার, হবিগঞ্জ নির্দেশনায় চুনারুঘাট থানার দুর্গম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ২৪/০৮/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ রাত ২৩.৫০ ঘটিকায় মোঃ বশির মিয়া, আব্দুল কাইয়ুম, আব্দুল জব্বার, জিলু মিয়া ও সবুজ মিয়াদের গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন …
Discover more from দৈনিক ক্রাইমসিন
Subscribe to get the latest posts sent to your email.