মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের বৈকুন্ঠপুর চা বাগান ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে বাগানের ১০/১২ টি ছায়াবৃক্ষ কেটে বাইরের লোকজনের কাছে বিক্রী করার চেষ্টা রুখে দিয়েছে ওই বাগানে কর্মরত চা শ্রমিকেরা।
গত শনিবার বাগান ব্যবস্থাপক শামছুল হক ভুইয়া রাতের আঁধারে নিজস্ব বলয়ের লোকজন দিয়ে বাগানের ছায়াবৃক্ষগুলো কেটে বাইরে পাচারের চেস্টা করলে বাগান শ্রমিকেরা টের পেয়ে বাঁধা দেয়।পাচারের উদ্দেশ্যে আকাশি,মেহগিনি সহ বিভিন্ন প্রজাতির ১০/১২ টি গাছ কাটা হয় বলে শ্রমিকদের অভিযোগ।
ঘটনা জানাজানি হলে আজ সোমবার(২৯ মে) বন বিভাগের লোকজন চা বাগানে গিয়ে কাটা গাছগুলো জগদীশপুর বিট অফিসে নিয়ে আসে।শ্রমিক নেতা সুশান্ত চৌহান জানান,বাগান ব্যবস্থাপকের অন্যায্য কর্মকান্ডে আমরা সমর্থন দিতে পারি না।
তাই কাটা গাছগুলো আমরা আটকে রেখে বন বিভাগকে অবহিত করেছি। বন বিভাগের জগদীশপুর বিট অফিসের বিট অফিসার সিদ্দিকুর রহমান জানান, ‘বন বিভাগের অনুমোদন ছাড়া গাছগুলো কাটা হয়েছে।তাই এগুলো জব্দ করে বিট অফিসে নিয়ে এসেছি।গাছগুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য ৫০ হাজার টাকা।
এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ নোয়াপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ আতাউল মোস্তফা সোহেল জানান, ‘বাগান ব্যবস্থাপক এভাবে গাছ কাটতে পারেন না। খবর পেয়ে আমি বাগান পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি।
‘ অভিযুক্ত বাগান ব্যবস্থাপক শামছুল হক ভুইয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমি বন বিভাগের এক পাহারাদারকে কয়েক টুকরা কাঠ দিয়েছিলাম।এটাকে রং মাখিয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার হচ্ছে।
আসলে বাগানের ভাল যারা চায় না তারাই অপপ্রচারে নেমেছে।’ আনুমানিক ৫০ হাজার টাকা মূল্যের গাছ জব্দ করা হয়েছে বিট অফিসারের এমন দাবি সম্পর্কে জানতে চাইলে শামছুল হক ভুইয়া বলেন, দেখা যাক কি হয়।