স্টাফ রিপোর্টার :
হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালানোর অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনসহ ৯৮ জনের নামে মামলা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আরও আছে ৭০,৮০ জন।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার মো: নাসির উদ্দিন যুগ্ন আহবায়ক, চুনারুঘাট উপজেলা যুবদল মামলাটি করেন। চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় বিষয়টি হবিগঞ্জ নিউজ কে নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি আরও জানান, মামলা নং -০৮, তারিখ-১১/৯/২৪, ধারা-১৪৩/১৪৭/১৪৮/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/১০৯/৩৪ পিসি।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী ও জনতা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ গোলচত্বর এলাকায় জড়ো হন।
বিক্ষোভ চলাকালে ওই দিন বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে হবিগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সায়েদুল হক সুমনের নির্দেশে একদল লোক আন্দোলকারীদের ওপর হামলা চালান। মামলার আসামিরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ওপর। এত অসংখ্য লোকজন আহত হন।
আন্দোলনের সময় সায়েদুল হকের নির্দেশে আসামি মানিক সরকার তার হাতে থাকা একটি রামদা দিয়ে উপজেলার বড়গাঁও গ্রামের অলিউর রহমানকে আঘাত করেন। অপর আসামি কবির মিয়া খন্দকার বাদীকে একটি রড দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পাশাপাশি অন্য আসামিরাও অস্ত্র হাতে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতাকে বেধড়ক মারধর করেন।
আরওপড়ুন …..
মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন চুনারুঘাট পৌরসভার সাবেক মেয়র সাইফুল আলম, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, রুমন ফরাজী, মানিক সরকার, মোস্তাফিজুর রহমান, ওয়াহেদ আলী ও আব্দালুর রহমান, চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পিপি এম আকবর হোসেইন জিতু, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আলী, যুগ্ম সম্পাদক সজল দাশ, তাঁতী লীগের সভাপতি কবির মিয়া খন্দকার, কাউন্সিলর আবদুল হান্নান ও সাবেক চেয়ারম্যান রজব আলী প্রমুখ।