জলঢাকার বিএনপি’র নেতা মইনুল হকের বিচারের দাবীতে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত।
মোঃ বাদশা প্রমানিক প্রতিনিধিঃ
জলঢাকায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির আয়োজনে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যু মইনুল হকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আজ রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২ টায় নীলফামারীর জলঢাকা জিরো পয়েন্ট থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির ব্যানারে বিএনপি’র নেতা ভূমিদস্যু মইনুল হকের বিচারের দাবীতে একটি বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি জলঢাকা উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ প্রদক্ষিণ শেষে জিরো পয়েন্টে এসে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। জাতীয় নাগরিক কমিটির আব্দুল হাকিম সাবুর সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়দের মধ্যে আব্দুল্লাহ আল নোমান, নাহিদ আহসান হাবিব রক্সি, সাবাব তানজিম, সাজ্জাদ হোসেন সাব্বির ও জাতীয় নাগরিক কমিটির হাবিবুর রহমান এবং ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মোহাইমিনুর রহমান সানা।
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য আব্দুল্লাহ আল এর তথ্য মতে জানা যায়, জলঢাকা উপজেলা বালাগ্রাম ইউনিয়নের সাইড নালা বাজারের ওয়াহেদুল মেম্বার ও ইমদাদুল হক শাহিন জলঢাকা উপজেলার বিএনপির সেক্রেটারি ভূমিদস্যু মইনুল হকের ইন্ধনে তাদের এলাকার কিছু মানুষের জমি দখল করে। জমির মালিক ও স্থানীয় জনগণ তাদের বেদখোলিও জমির দখল ফিরত চাইলে ভূমিদস্যু মইনুল হোসেন, ওয়াহেদ মেম্বার, এমদাদুল হক শাহীন, জাহিদসহ আরো কিছু সন্ত্রাসী এনে জনগণকে মারপিট করে তাড়িয়ে দয়। এ ঘটনা জানাজানি হলে, বৈষ্ণম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতারা ভূমি দস্য মইনুল হকের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে, তিনি নিজের অপকর্ম ঢাকতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের অকাট্য ভাষায় গালিগালাজ করে, দেখে নিব বলে প্রাণ নাশেন হুমকি দেয়। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সাজ্জাদ হোসেন সাব্বিরসহ অনেক সদস্য ও জলঢাকা উপজেলার সাবেক শিবির সভাপতি মহাইমিনুল রহমান সানা, স্থানীয় জামায়াতের লোকজন ও সাধারণ দোকানদারের উপর মিথ্যা আরোপ করে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, মামলা বাণিজ্যকারী, চাঁদাবাজ, আওয়ামী লীগের সেন্টারদাতা, বিএনপি’র লেবাজে আওয়ামী লীগের ম্যানডেট বাস্তবায়নকারী, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যদেরকে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান ও মিথ্যা মামলা করা জলঢাকার শিষ্য চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী মইনুল হককে বিচারের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। এদের মতো সন্ত্রাসী চিহ্নিত চাঁদাবাজদেরকে আইনের আওতায় আনতে না পারলে জুলাই বিপ্লব বিফলে যাবে। ছাত্ররা জীবন দিয়েছে এইসব দুর্নীতি সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের নির্মূল করে রাষ্ট্র ও সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরে আনতে,এদেরকে পৃষ্ঠপোষকতা করতে নয়। আমাদের সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকারের প্রেত-আত্মারা আমাদের সমাজে আত্মগোপন করে রয়েছে। এরা সুযোগ পেলেই বিভিন্ন দলে, বিভিন্নভাবে তাদের আসল রূপ দেখিয়ে দিবে। তাই আমরা আওয়ামী লীগ সুবিধাভোগী বিএনপি র সেক্রেটারি মইনুল হকের মতো সুবিধাবাদী এসব নেতাদের বিচারের জোর দাবী জানাই।