জামালপুর শহর রক্ষা বাঁধে ভাঙন, ঝুঁকিতে সেতু-মহাসড়ক
জেলা প্রতিনিধি
টানা ভারী বর্ষণে জামালপুরের পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের শহর রক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ কারণে জামালপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, সেতু, বসত-বাড়িসহ অনেক স্থাপনা ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙন মেরামতের কাজ শুরু না করলে শেরপুর-জামালপুর সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
সোমবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় বাঁধটির সিসি ব্লকসহ বাঁধের মাটি সরে গিয়ে প্রায় ২০ মিটার ভেঙে ধ্বসে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে বিশাল গর্ত। সেতুর পিলারের গোড়ায় দেখা দিয়েছে ভাঙন। আশপাশে ভাঙনের স্থানের আরো ফাটল ধরেছে। ভাঙনের স্থানটি স্থানীয় লোকজন বাঁশ দিয়ে ঘিরে রেখেছেন। বাঁধের ওপর দিয়ে হেঁটে চলাচলও বন্ধ হয়ে গেছে।
ফেরিঘাট এলাকার বাসিন্দা নাসিম বলেন, কয়েকদিন আগে বাঁধে বৃষ্টির পানি ঢুকে প্রথমে ছোট একটি গর্তের সৃষ্টি হয়। প্রতিদিন বৃষ্টির পানিতে আস্তে আস্তে ধসে যাচ্ছে বাঁধটি। এভাবে বৃষ্টি হতে থাকলে পুরো বাঁধটি ভেঙে যাবে। এলাকাবাসীর অভিযোগ এক সপ্তাহ ধরে বাঁধটির এমন বেহাল দশা। তারপরও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
পাউবোর জামালপুর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে প্রায় ৫১ কোটি টাকা ব্যয়ে পুরাতন ফেরিঘাট এলাকার ব্রহ্মপুত্র সেতু থেকে শহরের পাথালিয়া পর্যন্ত বাঁধ নির্মাণ করা হয়। যার দৈর্ঘ্য সাড়ে ৫ কিলোমিটার। বাঁধটি শহর রক্ষাসহ জামালপুর পৌরসভা ভবন, শতবর্ষী জিলা স্কুল, পৌর কমিউনিটি সেন্টার, এলজিইডি ভবন, সার্কিট হাউস, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও পুলিশ সুপারের (এসপি) বাসভবন, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, জজকোর্ট, জেলা পরিষদ ভবন, সদর থানা, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও জামালপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ভাঙনের হাত থেকে রক্ষায় নির্মাণ করা হয়। ফেরিঘাট এলাকায় এক সপ্তাহ ধরে ভারী বর্ষণ শুরু হলে বাঁধের নিচের সিসি ব্লক ও মাটি সরে গত সপ্তাহে বাঁধ ভেঙে যায়। এর পর থেকে একটু একটু করে ভাঙছে। কিন্তু বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় আরো ভাঙনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে জামালপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী নকিবুজ্জামান খান বলেন, ভাঙনের স্থানটি পরিদর্শন করা হয়েছে। দ্রুত মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হবে।