ক্রাইমসিন ডেস্কঃ
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলা জুড়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছে জাতীয় পরিচয়, জন্মসনদ ও বিভিন্ন কাগজপত্র তৈরীর জালিয়াতি চক্রের সদস্যরা। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জালিয়াতি চক্রের সদস্যরা জেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে তুলেছে দালাল চক্র।
আর এসব দালাল চক্রের সদস্যরা সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে জাতীয় পরিচয় ও জন্মসনদসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাগজ তৈরীর কথা বলে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে কম্পিউটার দোকান বসিয়ে ভূয়া জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন কাগজ পত্র তৈরীর কাজ অব্যাহত রেখেছে চক্রটি।
শুধু তাই নয়, সিন্ডিকেট চক্রের সদস্যরা আবেদনের সাথে সরকারী ফ্রি জমা না দিয়ে নিজেরাই ভূয়া জাতীয় পরিচয় তৈরী করে সাধারন গ্রাহকদের বুঝিয়ে দেন বলেও রয়েছে অভিযোগ। গতকাল বুধবার বিকেলে এমনই একটি অভিযোগে শহরতলীর পৌদ্দার বাড়ি এলাকার আবিদ কম্পিউটারের স্বত্বাধিকারী দুই ভাইকে অর্থদন্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার অভিযান চালিয়ে তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে নগদ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। দন্ড প্রাপ্তরা হলেন, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার এড়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও আবিদ কম্পিউটারের স্বত্বাধিকারী আবিদুর রহমান ও তার ভাই জামাল মিয়া।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা প্রলয় কুমার সাহা জানান, সম্প্রতি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের রবীন্দ্র কুমার ঘোষের মেয়ে ঝুমা রানী ঘোষের জাতীয় পরিচয় পত্র হারিয়ে যায়। এ বিষয়ে তিনি জাতীয় পরিচয় পত্রটি পেতে উপজেলা নির্বাচন কর্মকতা প্রলয় কুমার সাহার কাছে পরামর্শ চান। এতে প্রলয় কুমার সাহা তাকে ২৩০ টাকা সরকারী ফ্রি দিয়ে আবেদন করতে বলেন।
গতকাল বিকেলে ঝুমা রানী ঘোষ নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে সামনে আবিদ কম্পিউটারে আবেদন করতে গেলে দোকানের স্বত্বাধিকারী আবিদুর রহমান ও তার ভাই জামাল মিয়া সরকারী ফ্রি জমা না দিয়ে অর্থের বিনিময়ে জালিয়াতির মাধ্যমে তাকে জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরী করে দেন।
বিষয়টি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা প্রলয় কুমার সাহার নজরে আসলে তিনি তাৎক্ষনিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়েশা আক্তারকে অবগত করেন। পরে বিকেল ৩ টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার অভিযান চালিয়ে আবিদুর রহমান ও তার ভাই জামাল মিয়াকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অভিযানে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা প্রলয় কুমার সাহা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার বলেন, ‘জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় তৈরীর অভিযোগে দ্ইু ব্যক্তিকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন ২০০৯ এর ৫০ ধারায় অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে’। ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ না করতে তাদের সতর্ক করা হয়েছে’।
আরও পড়ুন …