মোঃ বাদশা প্রামাণিক নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর ডিমলায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছাত্রকে অপহরনের চেষ্টাকালে জনতার হাতে আটক করে টিমলা থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ । সারারাত দেন দরবার শেষে অবশেষে ছাড়া পেল আটক ভুয়া ডিবি পুলিশ অফিসার ।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রে জানা গেছে, নীলফামারীর ডিমলায় গয়াবাড়ি ইউনিয়নের মতির বাজার নামক স্থানে রাত ৮টার দিকে ৪ ব্যক্তি মটরসাইকেল করে যান। সেখানে মতির বাজারে ইমরানের ফ্লাক্সির দোকানের সামন থেকে গয়াবাড়ী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মফিজ উদ্দিনের ছেলে এইচ,এস,সি পড়ুয়া ছাত্র মুরাদ (১৮) কে টানা হ্যাচরা করে মটরসাইকেলে তুলে অপহরণের চেষ্টা করে।
আরওপড়ুন …বন্ধ এনআইডি সেবা
এ সময় মতির বাজারের লোকজন এসে বাধা প্রদান করে তখন ঐ তিন যুবক নিজেদেরকে ডিবি পুলিশের পরিচয় দেন। উপস্থিত লোকজন ডিবি পুলিশ পরিচয়দানকারীদের চ্যালেঞ্জ করলে ৪জনের মধ্যে ৩জন পালিয়ে যায় এবং মিলন ইসলাম (৪৫) নামের এক ব্যক্তি কে লোকজন আটক করে গণধোলাই দিয়ে ডিমলা থানায় সোপর্দ করেন। আটককৃত মিলন ইসলাম খালিশা চাপানী ইউনিয়নের হাজিপাড়া গ্রামের মৃত মোখলেছার রহমান (কালা মেম্বার)এর ছেলে। ভুয়া ডিবি পুলিশ পরিচয়দানকারী মিলন ইসলাম একটি রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতার নিকট আত্মীয় হওয়ায় সোমবার রাতভর দেন দরবার শেষে মঙ্গলবার ভোরে তাকে থানা পুলিশের হাত থেকে ছাড়িয়ে নেয়া হয়। মতি বাজারের প্রত্যক্ষদর্শী আঃ ছাত্তারের ছেলে জামিনুর রহমান জানান,সোমবার রাত সাড়ে ৮ টায় ৪ ব্যক্তি মটরসাইকেলে করে মতির বাজারে আসে। তাদের মধ্যে ৩ জন ১৮ বছর বয়সী এক ছাত্রকে টানা হ্যাচড়া করে মটরসাইকেলে ওঠানোর চেষ্টা করে। ওই সময় আমি সহ লোকজন ছুটে এসে তাদের ঘেরাও পরিচয় জানতে চাইলে তারা নিজেকে ডিবি পুলিশের পরিচয় দেন। তখন আমরা তাদের পরিচয় পত্র দেখতে চাইলে তাদের মধ্য হতে ৩ জন কৌশলে পালিয়ে যায়। এ সময় মিলন নামের ডিবি পুলিশ পরিচয় দানকারী ১ জনকে আটক করলে উত্তেজিত জনতা গণধোলাই দেন। খবর পেয়ে ডিমলা থানার এস আই আবুল কালাম ভুয়া ডিবি পুলিশের পরিচয় দানকারী মিলনকে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে ডিমলা থানায় নিয়ে যায় । কাচা বাজার বিক্রেতা বিম জানান,রাত সাড়ে ৮ টার দিকে মতির ৪ জন অপরিচিত লোক নিজেদের ডিবি পুলিশের সদস্য পরিচয় দিয়ে ১৭ বয়সী এক ছেলেকে জোরপূর্বক মটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা কারে। আমাদের সন্দেহ হলে তাদের কাছে পরিচয় পত্র দেখতে চাই।কিন্তু, ৩ জন কৌশলে পালিয়ে যায়। মিলন নামের ১জন আটকা পড়লে জনতা গণধোলাই দিয়ে।তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফজলে এলাহী জানান,মোবাইল ফোনে জানতে পাই যে মতির বাজারে স্থানীয় লোকজন ভুয়া ডিবি পুলিশ আটক করে মারপিট করছে।খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক এসআই আবুল কালাম কে ঘটনা স্থলে পাঠাইয়া মিলন(জনতার হাতে আটক ভুয়া ডিবি পুলিশ) নামের একজন পল্লী চিকিৎসককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। উদ্ধারকৃত মিলনের সদ্য বিবহিত মেয়েকে মতির বজার এলাকার মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে মুরাদ হোসেন ফোনে উত্যাক্ত করা সংক্রান্ত ঘটনার জেরে এ ঘটনার সূত্রপাত বলে তিনি জানান। উভয় পক্ষের লিখিত মীমাংসায় মিলনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।