ডিমলায় ৫ কর্মকর্তা দিয়ে চলছে ১০ভূমি অফিস। ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ।
মোঃ বাদশা প্রামানিক নিলফামারী প্রতিনিধি
নীলফামারীর ডিমলায় ১০ইউনিয়নে, ইউনিয়ন ভূমির সহকারী কর্মকর্তার অভাবে ভূমি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ জনগণ।ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য দশটি ইউনিয়নে দশটি ভূমি অফিস রয়েছে। এলাকার জনগণ, তাদের স্ব স্ব এলাকা হতে ভূমি সেবা পেতো।যেসব ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভুমি সহকারি কর্মকর্তা অবসরে গেছেন,দীর্ঘদিন ঔ সব পদে সরকারি নিয়োগ বন্ধ থাকায় পথগুলো শূন্য হয় যায়। ফলে একজন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে একাধিক অফিসের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। কাজের চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের পক্ষে জনগণকে চাহিদা মাফিক সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
সংশ্লিষ্ট অফিস সূত্রে জানা গেছে,ডিমলা উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ১০টি ভূমি অফিস থাকলেও অবসর এবং বদলি জনিত কারণে ৫টি ইউনিয়ন (ডিমলা সদর,খগা খড়িবাড়ী, পশ্চিম ছাতনাই, পূর্ব ছাতনাই ও গয়াবাড়ি) ইউনিয়ন ভুমি অফিসে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নাই। এসব অফিসের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নাউতারা ইউনিয়ন ভূমি সরকারি কর্মকর্তা আবুল হোসেনকে ডিমলা সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের,টেপা খড়িবাড়ি ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা শামসুল হককে পশ্চিম ছাতনাই উনিয়ন ভূমি অফিসের, বালাপাড়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা তহিদুল ইসলামকে খগা খড়িবাড়ি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের,ঝুনাগাছ চাঁপানি ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা গোলাম রব্বানীকে পূর্ব ছাঁতনাই ভুমি অফিসের, খাঁলিশা চাঁপানি ইউনিয়নের ভূমি অফিসার দুলাল চন্দ্র কে গয়াবাড়ি ইউনিয়নের ভূমি অফিসের অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে প্রদান করা হয়েছে। এতে এই পাঁচ কর্মকর্তা তাদের স্ব স্ব অফিসের দায়িত্ব পালন করতেই হিমশিম খাচ্ছে। তাদের উপর আরো পাঁচটি অফিসের অতিরিক্ত দায়িত্ব এসে পরায় দুই দিন এক অফিসে,তিন দিন আরেক অফিসে এভাবে তাদেরকে কাজ করে যেতে হচ্ছে। এসব অফিসে কাজের চাব বেশি থাকায় তারা কোন অফিসে সঠিকভাবে জনসেবা দিতে পারছে না। ফলে ভূমির সেবা পেতে গিয়ে বিভিন্ন বিড়ম্বনা ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে ওসব ঐ এলাকার মানুষ।
এ বিষয়ে ঝুনাগছ চাঁপানি ইউনিয়নের ভুমি সহকারী কর্মকর্তা গোলাম রাব্বানী বলেন,আমাদের নিজের অফিসের অনেক কাজের চাপ থাকে এই কাজগুলো করতে আমরা হিমশিম খাই। তার তার উপর পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে । একটা ইউনিয়ন অফিসের দায়িত্ব দিলে আমরা সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে না বলতে পারি না। একটি মানুষ দুই অফিসের দায়িত্ব পালন করতে গেলে কাজের চাপ বৃদ্ধি পাবে সেটা মেনে নিয়ে কাজ করতে হয়।এজন্য সাধারণ মানুষ বিষয়টি বুঝে আমাদেরকে সহযোগিতা করলে, আমরা আরো ভালো সেবা দিতে পারব।
এ বিষয়ে বালাপাড়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা তহিদুল ইসলাম বলেন,সরকারিভাবে নিয়োগ বন্ধ থাকায়, নিজ অফিস সহ অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। এতে কাজের চাপ একটু বৃদ্ধি পেলেও আমরা ভালোভাবে কাজ করে যাচ্ছি।এক অফিসে দুইদিন কাজ করলে অন্য অফিসে তিন দিন কাজ করছি। যে অফিসে যেদিন কাজ করি সে অফিসে এলাকার জনগণ সেবা পায়। অপর অফিস বন্ধ থাকে ফলে জনসেবা সেবা থেকে বঞ্চিত থাকে। যেহেতু নিয়োগ প্রক্রিয়া সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়। সেখানে আমাদের হাত নেই। একজন মানুষ দুই অফিসে কাজ করেও সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছি।
সহকারি কমিশনার (ভুমি) ডিমলা এর অতিরিক্ত দায়িত্বরত উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসেল মিয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, এখানে আমার কোন হাত নেই। তারপরেও আমরা সাধারণ জনগণকে উত্তম সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।