ডিমলায তিস্তা নদী হতে অবৈধভাবে পাথর উত্তলনের মহা চলছে উৎসব। মানছে না প্রশাসনের বাধা।
মোঃ বাদশা প্রমানিক নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
তিস্তা নদী হতে আবারো অবৈধভাবে পাথর উত্তলনের মহা উৎসব চলছে । উত্তোলনকারীরা বেপরোয়া হয়ে পড়েছে।
উপজেলা প্রশাসনের বাধা নিষেধ উপেক্ষা করে পাথর উত্তোলন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
এলাকাবাসীর ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানি ইউনিয়নের ছোটখাতা তিস্তা বিধৌত এলাকার ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক নির্মিত তিস্তা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রিন গ্রয়েনবাধ (বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ) এলাকায় ওই এলাকার অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন কারীর একটি সঙ্গবদ্ধ চক্র পাথর উত্তোলন করে আসছে। ছোট খাতা গ্রামের মৃত্যু আফতাব উদ্দিন এর পুত্র সেলিম রেজা বলেন, মোহর আলীর পুত্র ওহাব আলী (৫৫) দিদার আলী শিকদারের পুত্র মুরাদ (৩৫) জাকির হোসেনের পুত্র মনির হোসেন(৩৬) গোলজার হোসেনের পুত্র বাবু মিয়া (৪২)মুফা মাহমুদের পুত্র জাফর আলী (৪০) এর নেতৃত্বে একাধিক চক্র তিস্তা নদী হতে দীর্ঘদিন যাবত অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করে আসছে। পাথর উত্তোলনকারী চক্রটি ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা প্রশাসনের বাধা নিষেধ তোয়াক্কা না করে স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন যাবত উক্ত
তিস্তা নদী হতে অবৈধ পাথর উত্তোলন চক্রটি আবারো সক্রিয়।মানছে না প্রশাসনের বাধা নিষেধ।
এলাকাগুলো হতে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। নদী হতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে একাধিক মামলা হলেও পাথর উত্তোলন বন্ধ হয়নি।
এ ব্যাপারে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী কৌশলী অমিতাভ চৌধুরী জানান, তিস্তা ব্যারেজের উজানে তিস্তা নদী হতে বলু বা পাথর উত্তোলন করা হলে তিস্তা ব্যারেজ সামনে চর জেগে তিস্তা ব্যারেজের সেচ কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে। পাশাপাশি তিস্তা নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে তিস্তা ব্যারেজের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিস্তা ব্যারেজের কথা মাথায় রেখে নির্মাণের ব্যারেজ নির্মাণের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য চিন্তা করে, ব্যারেজ উজানে তিস্তা নদীর অভ্যন্তরীণ এলাকায় বালু পাথর উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে তিস্তা বিধৌত এলাকাগুলোতে জনসচেতনতার জন্য মাইকিং সহ ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়। তারপরেও কয়েকটি চক্র গোপনে তিস্তা নদী হাতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করে আসছে।
সম্প্রতি ওই চক্রটি তিস্তা নদী হইতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করিলে এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাসেল মিয়া গত একুশে নভেম্বর তিস্তা নদী হতে উত্তোলনকৃত বেশ কিছু পাথরের স্তুপ জব্দ করেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসেল মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে ২১শে নভেম্বর বেশ কিছু পাথরের স্তুপ জব্দ করা হয়।