সতর্কবার্তায় চুলা জ্বালানোর আগে ঘরের দরজা-জানালা খুলে রাখতে বলা হয়েছে। এরপর ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে চুলা জ্বালাতে বলা হয়েছে। অগ্নি–দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে এমন সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে বলে তিতাস সূত্রে জানা গেছে।,
আবদ্ধ ঘরে গ্যাস জমলে সেটি ব্যাপক শক্তি সঞ্চয় করে। সামান্য আগুনের ফুলকিতেও ওই ঘরে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। সম্প্রতি রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় ও সিদ্দিকবাজারের একটি ভবনে বিস্ফোরণের ক্ষেত্রেও তিতাসের গ্যাস জমে যাওয়াকে দায়ী করা হয়।
এ ছাড়া ঈদের ছুটিতে ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে গ্রামের বাড়ি চলে যান রাজধানীর বাসিন্দারা। এমন অবস্থায় গ্যাসের লাইনে ছিদ্র থাকলে তা দিয়ে গ্যাস বের হয়ে আবদ্ধ ঘরে জমে যেতে পারে। এতে অগ্নি–দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে।
সেই ঝুঁকি এড়াতে তিতাসের সতর্কবার্তায় , ‘রান্নাঘরের চুলা জ্বালানোর আগে দরজা–জানালা খুলে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। নির্ভয়ে ও নির্বিঘ্নে রান্না করুন।
যেকোনো প্রয়োজনে তিতাস হট লাইন ১৬৪৯৬ নম্বরে কল করুন—তিতাস কর্তৃপক্ষ।’ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পাতায় সতর্কবার্তাটি পোস্ট করা হয়েছে।
গত সোমবারের ঘটনার প্রেক্ষাপটে তিতাস কর্তৃপক্ষ বলেছিল, সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনে গ্যাসের চাপ বেড়ে যাওয়ায় বাসাবাড়ির সরবরাহ লাইনের ছিদ্র দিয়ে এই গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। পরে গ্যাসের চাপ কমিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার দাবি করে তারা।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড দেশের সবচেয়ে বড় গ্যাস বিতরণ সংস্থা। ঢাকায় তিতাসের সাত হাজার কিলোমিটার পাইপলাইন রয়েছে। তিতাসের আওতাধীন এলাকায় মোট সংযোগ ২৮ লাখ ৭৭ হাজার ৬০৪টি। এর মধ্যে আবাসিক সংযোগ আছে ২৮ লাখ ৫৭ হাজার ৯৩৬টি।
৯৬৭ সালে ঢাকায় পাইপলাইন নির্মাণের কাজ শুরু করে তিতাস। নগরীতে এই পাইপলাইন বিস্তৃত হয় ১৯৮০ সালের পর। সেসব পাইপলাইনের মেয়াদ ছিল ৩০ বছর। কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার ১০ বছর পরও ওই পাইপলাইন দিয়ে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। ফলে স্বাভাবিক কারণেই গ্যাস সরবরাহের লাইনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।