1. salmankoeas@gmail.com : admin :
দেশের ২২ তম রাষ্ট্রপতির শপথ গ্রহণ। দৈনিক ক্রাইমসিন - দৈনিক ক্রাইমসিন
শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

দেশের ২২ তম রাষ্ট্রপতির শপথ গ্রহণ। দৈনিক ক্রাইমসিন

কে.এ.সালমান
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৩
  • ২৬০ Time View

কে.এ,সালমান :
দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে আজ ২৪ এপ্রিল, সোমবার দায়িত্ব গ্রহণ করলেন মো. সাহাবুদ্দিন। বঙ্গভবনের ঐতিহাসিক দরবার হলে বেলা ১১ঃ০০ টার সময় তিনি রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন।

তাকে শপথ পাঠ করান মহান জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, মন্ত্রিপরিষদ সদস্যসহ কয়েকশ বিশিষ্ট অতিথি।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। এরপর নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শপথ নথিতে স্বাক্ষর করেন।

শপথ গ্রহণের পরপরই নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আনুষ্ঠানিকভাবে চেয়ার বদল করেন।

দেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের স্থলাভিষিক্ত হলেন মুক্তিযোদ্ধা ও মাঠ পর্যায়ের রাজনীতিবিদ মো. সাহাবুদ্দিন।

সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে ৪১ দিনসহ টানা দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ১০ বছর ৪১ দিন অতিবাহিত করার পরে অবসরে গেলেন আবদুল হামিদ।

শপথ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নতুন রাষ্ট্রপতির স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ও ছেলে আরশাদ আদনান রনিসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।

এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে নির্বাচিত হন ৭৩ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ।

১৯৪৯ সালের ১০ ডিসেম্বর পাবনা শহরের শিবরামপুরের জুবিলী ট্যাংক পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন মো. সাহাবুদ্দিন। তার ডাক নাম চুপ্পু। পিতা শরফুদ্দিন আনছারী, মাতা খায়রুন্নেসা।

১৯৭৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরে এলএলবি ও ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তিনি।

তিনি পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, পাবনা জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সভাপতি ছিলেন।

জেলা বাকশালের যুগ্ম-সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

দৈনিক ক্রাইমসিন ভিডিও নিউজ দেখতে ক্লিক করুন :

মো. সাহাবুদ্দিন ছেষট্টির ৬ দফা আন্দোলন, উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।

তিনি পাবনা জেলার আন্দোলন-সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করেন।

ওই সময় সামরিক স্বৈরশাসকদের রোষানলে তিন বছর জেল খাটেন ও অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হন।

মো. সাহাবুদ্দিন দৈনিক বাংলার বাণীতে সাংবাদিকতাও করেছেন। তার অনেক কলাম বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ছাপা হয়েছে।

কর্মজীবনে তিনি জেলা ও দায়রা জজ এবং দুদক কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক এবং বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত সমন্বয়কারী হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন।

মো. সাহাবুদ্দিন পরপর দুবার বিসিএস (বিচার) অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব নির্বাচিত হন। চাকরি থেকে অবসরের পর হাইকোর্টে আইন পেশায় নিযুক্ত হন।

পরবর্তী সময়ে ২০০১ সালের নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

দুদক কমিশনার হিসেবে পদ্মা সেতু প্রকল্পের বিরুদ্ধে ওঠা তথাকথিত দুর্নীতির ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দৃঢ়তার পরিচয় দেন মো. সাহাবুদ্দিন।

সাবেক এই ছাত্রনেতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

আপনার প্রতিষ্টানের বিশ্বব্যাপি প্রচারের জন্য বিজ্ঞাপন দিন

© All rights reserved © 2023 দৈনিক ক্রাইমসিন
Theme Customized BY ITPolly.Com