নন্দীগ্রামে নবান্নের উৎসব উপলক্ষে বিভিন্ন জায়গায় মাছের মেলা হয়
তানসেন আলী মন্টু ক্রাইম রিপোর্টার
নতুন রোপা আমন ধান কাটার পর সেই ধান থেকে পাওয়া চালের প্রথম রান্নার আয়োজিত উৎসবই নবান্ন। পঞ্জিকা অনুসারে রবিবার ২ অগ্রহায়ণ বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নবান্ন উৎসব পালন করছেন। নবান্ন উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ হলো হরেক রকম মাছের মেলা। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বসেছে মাছের মেলা।
সরেজমিন উপজেলার ওমরপুর ও রণবাঘা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, সারি সারি মাছের দোকান। সেখানে থরে থরে সাজানো রুই, কাতলা, মৃগেল, চিতল, সিলভার কার্প, বিগহেড, বোয়ালসহ হরেক রকমের মাছ। আর লোকজন ব্যাপক উৎসাহের সঙ্গে কিনছেন এসব মাছ। কোনো কোনো মাছ বিক্রেতা বিশালাকৃতির মাছগুলোর মাথা ওপরে তুলে ধরে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণেরও চেষ্টা করছেন। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ এ বছর মাছের দাম অনেক বেশি।
জানতে চাইলে মাছ বিক্রেতা আবু তাহের মিতুল বলেন, নবান্ন উৎসব ঘিরে প্রতি বছরের মতো এবাও বড় বড় মাছ বাজারে বিক্রি করতে এনেছি। মাছের বাজার একটু বেশি। বিগহেড ও সিলভারকাপ ৪০০ থেকে ৬৫০ টাকা, রুই ও কাতলা ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা, চিতল ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা এবং বোয়াল ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছ ক্রেতা পাপ্পু কুমার জয় বলেন, মাছের দাম খুব বেশি। আমি কাতলা মাছ ৬০০ টাকা ও বিগহেড মাছ ৫৫০ টাকা কেজি দরে কিনেছি। এবার বাজারে চিতল ও বোয়াল ছোট ছোট মাছ।
মাছ কিনতে আসা দিপক কুমার বলেন, আমি রণবাঘা বাজার মাছ কিনতে গেছিলাম। ওই বাজারে দাম বেশি দেখে ওমরপুর আসলাম। এইখানেও দেখছি মাছের দাম খুব বেশি। তবু মাছতো কিনতেই হবে।