তানসেন আলী মন্টু ক্রাইম রিপোর্টার :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসনে নৌকা মার্কার পক্ষে ব্যাপক প্রচারণা ও গণসংযোগ করায় নন্দীগ্রাম পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বকুল হোসেনসহ দুই নেতাকে অব্যহতি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
নৌকার প্রার্থীর দাবি, উপজেলা আওয়ামী লীগের এই সিদ্ধান্ত দলীয় শৃঙ্খলা ও গঠনতন্ত্র ভঙ্গ করেছে। নৌকার পক্ষে পৌর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে প্রার্থীর মতবিনিময় করার পরদিনই নেতাদের অব্যহতি দেওয়ার ঘটনাটি নৌকার সঙ্গে প্রকাশ্য বিরোধীতা।
গতকাল বুধবার দুপুরে নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ফিরোজ কামাল ফারুক স্বাক্ষরিত দলীয় প্যাডে দুই নেতাকে অব্যহতির বিজ্ঞপ্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বকুল হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনের কার্যক্রমে অনুপস্থিত, নিস্ক্রিয় থাকায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপের কারণে দুই নেতাকে পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।
সুত্র জানায়, বগুড়া-৪ আসনে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন জেলা জাসদ সভাপতি রেজাউল করিম তানসেন। তার পক্ষে আওয়ামী লীগের একটি বড় অংশ প্রচারণায় নামেনি। অনেকে নৌকার বিপক্ষে কাজ করছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সাবেক এমপি ডা. জিয়াউল হক মোল্লার পক্ষে ঈগল মার্কার প্রকাশ্য প্রচারণা করায় গত সোমবার উপজেলার সিমলা বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগের তিনজন নেতাকে লাঞ্ছিত করে নৌকার কর্মী-সমর্থকরা।
নন্দীগ্রাম পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বকুল হোসেন বলেন, নৌকা মার্কার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছি। বিএনপির সাবেক এমপির ঈগল মার্কার বিপক্ষে থাকায় আমার সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে এবং সংগঠনের গঠনতন্ত্র না মেনে অব্যহতির সিদ্ধান্তকারীদের ব্যাপারে দলের জেলাসহ হাইকমান্ডে তিনি অভিযোগ করবেন। পৌর শাখার ৯টি ওয়ার্ডে সক্রিয় সাংগঠনিক কার্যক্রম করাসহ দলীয় এবং জাতীয় কর্মসূচীগুলো নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়েই পালন করে আসছি। নৌকার পক্ষে কাজ করায় উপজেলা আওয়ামী লীগ মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।
আরও পড়ুন ….
নৌকা মার্কার প্রার্থী একেএম রেজাউল করিম তানসেন বলেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ নেতাকর্মীরা নৌকার পক্ষে ব্যাপক প্রচারণা করছেন। মঙ্গলবার তাদের সঙ্গে নন্দীগ্রাম শহরের নির্বাচনী অফিসে মতবিনিময় করেছি, উপজেলা চেয়ারম্যানও সেখানে ছিলেন। পরদিন বুধবার সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদককে অব্যহতি দেওয়ার ঘটনাটি নৌকার সঙ্গে প্রকাশ্য বিরোধীতা। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও দলের হাইকমান্ডে তিনি চিঠি লিখবেন বলে জানিয়েছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র আনিছুর রহমান বলেন, নৌকার সঙ্গে বিরোধীতা করা হয়নি। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় দুই নেতাকে পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু বলেন, নৌকার পক্ষে কাজ করায় কেন অব্যহতি দেবে। বিষয়টি তার জানা নেই।