নন্দীগ্রাম হত দরিদ্রের চায়ের স্টল ভাঙচুর
তানসেন আলী মন্টু নন্দীগ্রাম (বগুড়া)প্রতিনিধি:
শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর বগুড়ার নন্দীগ্রামে আনন্দ মিছিলের সুযোগে ফুটপাতের এক চা দোকান ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। গত ৫ আগস্ট বিকেলে দুবৃর্ত্তরা নন্দীগ্রাম মনসুর হোসেন ডিগ্রি কলেজ গেটে ফুটপাত দখল করতেই এই ঘটনা ঘটায়। কাপ-কেটলি থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামগ্রী লুটপাট হওয়ায় দরিদ্র চা দোকানির রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি জানার পর সরেজমিনে সেখানে ছুটে যান কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও বগুড়া জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি আলহাজ্ব মোশারফ হোসেন। নেতাকর্মীদের নিয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে জেনেছেন জনৈক ব্যক্তির সঙ্গে ওই চা দোকানির বিরোধ ছিল। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর ছাত্র-জনতার আনন্দ মিছিলের সময় ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের পূর্ববিরোধে ঘটনাটি ঘটে। রাজনৈতিক দলের কেউই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। ক্ষতিগ্রস্ত চা দোকান মেরামতে সচল করে দেওয়াসহ কেউ যেন জায়গাটি জবরদখল করতে না পারে সেদিকে বিএনপি নেতাকর্মীদের নজর রাখার নির্দেশ দেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) পৌর শহরের নন্দীগ্রাম মনসুর হোসেন ডিগ্রি কলেজ গেটে গিয়ে ওই চা দোকান আগের মতোই সচল দেখা যায়।
জানা গেছে, কলেজপাড়া কেজি একাডেমি সংলগ্ন টিনসেড বাড়িতে স্ত্রী, এক কন্যা ও অসুস্থ শাশুড়িকে নিয়ে থাকেন চা দোকানি আজমীর। ঘরের টিন পুরাতন, বৃষ্টি হলেই ছিদ্র দিয়ে ঘরে পানি পড়ে। মেরামত করার সামর্থ্যও তার নেই। তার বাবা, মা, শ^শুর কেউই বেঁচে নেই। এতিম আজমীর হোসেন ফুটপাতে অস্থায়ী দোকানে চা বিক্রি করে খুব কষ্টে সংসার চালান। শাশুড়ি মাঝেমধ্যেই অসুস্থ হয়, তাকে নিয়ে শহরের হাসপাতাল ও ডাক্তারের কাছে ছোটাছুটি করতে হয়।
চা দোকানি জানান, গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ ছেড়ে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর পৌর শহরে হাজারও ছাত্র-জনতা আনন্দ মিছিল বের করেন। শাশুড়িকে নিয়ে শহরে ডাক্তারের কাছে থাকায় সেদিন চা দোকান বন্ধ ছিল। এই সুযোগে পূর্ববিরোধের জেরে প্রতিপক্ষ জনৈক ব্যবসায়ী তার লোকজন নিয়ে ওই চা দোকান ভেঙে তছনছ করে।