মোঃ আবু তালেব নবীগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টাসঃ
একসময় ছিলেন চক্ষু হাসপাতালের কর্মচারী (ওয়ার্ড বয়), বর্তমানে তিনি চক্ষু রোগের চিকিৎসক মোঃ তাজুল ইসলাম নবীগঞ্জে জনতার হাতে আটক হয়েছেন। পরবর্তীতে আটক তাজুলকে ছেড়ে দেয়া হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার পানিউমদা মোকামপাড়া বাজারে এম ফার্মেসীতে মো. তাজুল ইসলাম চিকিৎসা সেবা দেয়ার সময় স্থানীয় সামাজিক সংগঠন টিম প্রয়াসের সদস্যরা থাকে আটক করেন।
কথিত চক্ষু বিশেষজ্ঞ মো. তাজুল ইসলাম মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের কালেংগা গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে ও মৌলভীবাজার বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের সাবেক কর্মচারী (ওয়ার্ড বয়)।
সামাজিক সংগঠন টিম প্রয়াসের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয়রা জানান- গত বুধবার সামাজিক সংগঠন টিম প্রয়াসের উদ্যোগে মৌলভীবাজার বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের অভিজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প করে চিকিৎসা প্রদান করেন। এ সময় মৌলভী বাজার বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে আলাপকালে কথিত চক্ষু চিকিৎসক মো. তাজুল ইসলাম চক্ষু চিকিৎসার নামে প্রতারণার করছেন বলে অবগত হন টিম প্রয়াসের সদস্যরা।
অন্যদিকে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে নবীগঞ্জ উপজেলার পানিমউদা ইউনিয়নের মোকাম বাজার এম ফার্মেসীতে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত, বাল্লারহাট বাজারে অনুকূল ফার্মেসীতে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ৩টা পর্যন্ত, ফার্ম বাজারে মিনি ফার্মেসীতে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত রোগী দেখতেন কথিত চক্ষু বিশেষজ্ঞ মো. তাজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার পানিউমদা মোকামপাড়া বাজারে এম ফার্মেসীতে মো. তাজুল ইসলাম রোগী দেখার সময় সামাজিক সংগঠন টিম প্রয়াসের সদস্যরা উপস্থিত হয়ে তাকে আটক করেন। এসময় কথিত চিকিৎসক মো. তাজুল ইসলাম বিভিন্ন সময়ের নানা অপকর্মের কথা স্বীকার করেন। পরে তাকে আটক করে পানিউমদা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এক পর্যায়ে সন্ধ্যায় তাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
আরওপড়ুন …..
সামাজিক সংগঠন টিম প্রয়াসের সদস্য শাহেদ আহমেদ ফরহাদ জানান- ভুয়া চক্ষু বিশেষজ্ঞ মো. তাজুল ইসলামকে আটক করার পর তিনি বিগত সময়ে মৌলভীবাজার বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের সাবেক ওয়ার্ড বয় ছিলেন বলে স্বীকার করেন। পরবর্তীতে তাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়। রবিবার কাগজপত্র নিয়ে উপস্থিত হবেন বলে আশ্বস্থ করলে ইউএনও অফিস থেকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
পানিউমদা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইজাজুর রহমান জানান- ভুয়া এক ডাক্তার আটকের খবর পেয়েছি, পরবর্তীতে থাকে ইউএনও অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুস সামাদ জানান- ভুয়া এক চক্ষু চিকিৎসককে আটক করা হয়েছে বলে খবর পেয়েছি, ইউএনও স্যারের কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।
অভিযুক্ত কথিত চক্ষু বিশেষজ্ঞ মো. তাজুল ইসলাম বলেন- মৌলভীবাজার বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালে এক সময় আমি ওয়ার্ড বয় ছিলাম, পরবর্তীতে আমার প্রোমোশন হয়। আমি চক্ষু চিকিৎসার উপরে বিভিন্ন ডিগ্রী নিয়েছি, তিনি বলেন- পানিউমদা স্থানীয় লোকজন আমাকে আটক করার পর আমাকে ইউএনও অফিসে নিয়ে যাওয়া হয় তাৎক্ষনিক আমি সার্টিফিকেট দেখাতে পারিনি, রবিবার সার্টিফিকেট নিয়ে যাবো বলায় আমাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপম দাস অনুপের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।