পটুয়াখালী ভার্সিটিতে, র্যাগিং এর দায়ে ২০ শিক্ষার্থীর শাস্তি।।
দুমকি ও পবিপ্রবি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধ :
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) র্যাগিং এর দায়ে ২০ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি এবং জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের অনুমোদনক্রমে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো: মামুন অর রশিদ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের তানভীরুল ইসলাম সিয়াম ও প্রিতম কারনকে ৩ সেমিস্টার এবং ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের জুনায়েদ হোসাইন ও কৃষি অনুষদের ইউনুস খান ইফতিকে দুই সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। সৌরভ সরকার শাওন, জিহাদ হাসান জিম, গোলাম রাব্বি, মো: ওমর ফারুক, খালেদ মাহমুদ রূপক, খালিদ হাসান, ইসতিয়াক আহমেদ রিয়াদ, মো: জুনায়েদ আল হাবিব জিন্নাহ ও সাহিব আহমেদকে এক বছরের জন্য হল থেকে বহিষ্কার ও নগদ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া এ এম জোবায়ের, মো: সোহেল ও সনাতন চন্দ্র রায়কে ৬ মাসের জন্য হল থেকে বহিষ্কার ও নগদ তিন হাজার টাকা জরিমানা এবং ক্যাচিং মং মারমা, মিনহাজুল ইসলাম, মো: নূর মোহাম্মদ সরকারকে তিন হাজার টাকা জরিমানা ও সুপেল চাকমাকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শাস্তি পাওয়া সভাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের এম. কেরামত আলী হলে র্যাগিং এর ঘটনা ঘটলে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে প্রমাণিত অসদাচরণ ও অপরাধের দায়ে ছাত্র-শৃঙ্খলা বোর্ডের ৪০ তম সভায় শাস্তির এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
অফিস আদেশে আরও জানানো হয়, সেমিস্টার বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা কোনোভাবেই ক্যাম্পাসে এবং হল থেকে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করতে পারবেনা। এছাড়া দন্ডপ্রাপ্ত ১৫(পনেরো) কার্যদিবসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে দন্ডিত অর্থ জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ধার্যকৃত অর্থ জমাদানে ব্যর্থ হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একতরফাভাবে যেকোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ নভেম্বর দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এম কেরামত আলী হলে র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটে। এর ফলে কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়।।