কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে এবার ১৯ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। দান সিন্দুকের এসব টাকা গণনা করে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা পাওয়া গেছে।
দীর্ঘ ১৩ ঘন্টা টাকা গণনার পর শনিবার রাত ৯টায় দানের টাকার এই হিসাব পাওয়া যায়। এবার চার মাস পর দান সিন্দুক খোলা হয়। বিপুল পরিমাণ এই নগদ টাকা ছাড়াও বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রা ও দান হিসেবে অনেক স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে।
এর আগে গত ৭ই জানুয়ারি সর্বশেষ যখন দান সিন্দুক খোলা হয়েছিলো, তখন দান সিন্দুক থেকে রেকর্ড ২০ বস্তা টাকা পাওয়া গিয়েছিল। সেসব টাকা গণনার পর সর্বোচ্চ চার কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা পাওয়া যায়।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শনিবার সকাল ৮টায় জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণের উপস্থিতিতে পাগলা মসজিদের ৮টি দান সিন্দুক খোলা হয়। সাধারণত তিন মাস পর পর দান সিন্দুক খোলা হলেও এবার রমজানের কারণে সময় বাড়ানো হয়।
দান সিন্দুক থেকে টাকা খুলে প্রথমে বস্তায় ভরা হয়। এবার বড় বস্তার ১৯ বস্তা টাকা হয়েছে। এরপর শুরু হয় দিনব্যাপী টাকা গণনা।
টাকা গণনায় মসজিদ মাদরাসার শতাধিক ছাত্র, রূপালী ব্যাংকের ৬০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং মসজিদ মাদরাসার কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ দুই শতাধিক মানুষ অংশ নেন। তাদের টাকা ভাঁজ করা থেকে শুরু করে গণনা করতে দীর্ঘ ১৩ ঘন্টা সময় লাগে।
এবারও দান সিন্দুকের টাকা গণনার সময় অনেক চিঠি-পত্র পাওয়া গেছে। সেসব চিঠিতে দানকারীরা নিজেদের মনের বাসনার কথা লিখে জানিয়েছেন।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এটিএম ফরহাদ চৌধুরী ও
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মহুয়া মমতাজ এর তত্ত্বাবধানে সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাকিবুল ইসলাম, হোসেনপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাশিতা-তুল ইসলাম, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মো. সিরাজুল ইসলাম,
শেখ জাবের আহমেদ, মোছা. নাবিলা ফেরদৌস, সাদিয়া আফরিন তারিন ও ফাতেমা-তুজ-জোহরা, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শওকত উদ্দীন ভূঞা, রূপালী ব্যংকের এজিএম মো. রফিকুল ইসলাম,
পাগলা মসজিদ কমিটির সদস্য সিনিয়র সাংবাদিক সাইফুল হক মোল্লা প্রমুখ টাকা গণনার কাজ তদারকি করেন।
Subscribe to get the latest posts sent to your email.