নিজেস্ব প্রতিবেদক :
পঞ্চম শ্রেণীর কম লেখাপড়া সুমনের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসডি সুমন এবং এলাকায় সুমন দাস নামেই সবাই তাকে চিনেন। সুমনের বাড়ি বানিয়াচং উপজেলার ৯নং পুকড়া ইউনিয়নের দড়ওয়া গ্রামে। তার বাবা সমর দাস কিছুদিন আগেও বর্গা চাষ করতেন অন্যের জমিতে। সুমন দাসের আরেক ভাই শংকর দাস কাজ করেন হবিগঞ্জ শহরের আরডি হল এলাকার এক ফার্মেসীতে।
এলাকায় প্রচলিত আছে হঠাৎ করেই ‘আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ’ হয়ে গেছেন সুমন চন্দ্র দাস। স্থানীয় সুত্র জানায়, আনুমানিক ২০০৮ সালের দিকে হবিগঞ্জ শহরের বগলা বাজার এলাকার লুৎফা আবাসিক হোটেলে ‘হোটেল বয়’ হিসেবে কাজ নেন সুমন। আবাসিক হোটেলে আসা যাওয়ার সুত্র ধরেই পরিচয় হয় মেয়র আতাউর রহমান সেলিমের সাথে।
এক সময় সেলিমের প্রিয়পাত্র হয়েই দেখাশুনা শুরু করেন চাঁদাবাজি, বালু মহালসহ সকল সিন্ডিকেট। বিভিন্ন স্থান থেকে চাঁদা, তদবীর সংগ্রহের ভাগ পেয়েই রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যান তিনি। লোকমুখে প্রচলিত আছে পঞ্চম শ্রেণী শিক্ষাগত যোগ্যতার কম হলে সে আতাউর রহমান সেলিমের বিশ্বস্ত ছিল। সব ধরনের ক্রাইম সিন্ডিকেটগুলোর দেখাশুনা, আদান প্রদান করত সে।
আরওপড়ুন …
সম্প্রতি তার ক্রয় করা হবিগঞ্জ শহরের নোয়াহাটি এলাকায় ৭০ লাখ টাকা দামের একটি বাসা যার হোল্ডিং নং- ২৩৫৮ এবং দওয়াড়া মৌজায় আনুমানিক ৬ একর সম্পত্তির সন্ধান পেয়েছে দৈনিক আমার হবিগঞ্জ। সুমন নোয়াহটি এলাকার বাসাটি কিনেছেন জগদীস দাসের ভাই আমেরিকা প্রবাসী জন্টু দাসের কাছ থেকে। জমি ও বাড়ির রেজিস্ট্রি করেছেন তার বাবা সমর দাসের নামে। জন্মস্থান দওয়াড়া গ্রামের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সুযোগে গ্রাম্য পঞ্চায়েতের প্রায় ৬ একর জমি কিনেছেন সুমন।
এদিকে, প্রকাশ্যে সুনির্দিষ্ট আয়ের কোন উৎস না থাকার পর রাতারাতি কোটিপতি বয়ে যাওয়াটাকে অবৈধ সম্পত্তি মনে করছেন হবিগঞ্জের সচেতন মহল। কেউ কেউ বলছেন, দ্রæত তাকে আইনের আওতায় এনে তার আয়ের উৎস অনুসন্ধান করা জরুরী।
Subscribe to get the latest posts sent to your email.