স্বাধীনতার ৫২ বছর পেরিয়ে গেল। অথচ অর্ধশতাব্দী পেরিয়েও নিজেদের এলাকায় ভালো একটা রাস্তা জোটেনি হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের শাহজালালপুর গ্রামসহ আশপাশের ৭/৮টি গ্রামের জনসাধারণের। চৌমুহনী থেকে জয়পুর মসজিদবাজার পর্যন্ত রাস্তাটি পাঁকাকরন হয় গত কয়েক বছর আগে।‘
৩০ হাজার মানুষকে প্রতিদিনকার দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দিতে জয়পুর-মসজিদ বাজার থেকে হরিণখোলা পর্যন্ত তিন কিলোমিটার পাকা সড়ক নির্মাণ করে দেওয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন শাহজালালপুর গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ উদ্বোধনী জনসভায় বক্তব্য কালে তৎকালিন এমপি বর্তমান বেসমারিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এডঃ মাহবুব আলী। সেই প্রতিশ্রæতির পেরিয়ে গেল ৭ বছর। জয়পুর-মসজিদ বাজার থেকে হরিণখোলা পর্যন্ত কিন্তু অজানা কারণে কাদা মাটির দীর্ঘ রাস্তাটি পড়ে আছে যেমন ছিল তেমন।’
জানা যায়, বর্ষাকালে বৃষ্টি-বাদলে কর্দমাক্ত হয়ে জনগণ ও যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরে পুরো রাস্তা। স্থানীয়দের ভাষ্য মতে, বর্ষাকালে রাস্তাটি রূপ নেয় চাষের জমিতে! তখন ভোগান্তির সীমা থাকে না ওই এলাকার শাহজালালপুর,রাজনগর,হরিণখোলা,নয়নপুরসহ কয়েকটি গ্রামের ৩০ হাজার লোকের। স্থানীয়রা জানায়,শাহজালালপুর গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ উদ্বোধনী জনসভায় বক্তব্য কালে বেসমারিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এডঃ মাহবুব আলী এই রাস্তাটি পাঁকাকরনের প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে রাস্তার উন্নয়ন কাজ আজও শুরু হয়নি।’
সরেজমিন দেখা যায়, তিন কিলোমিটার দীর্ঘ কাঁচা রাস্তাটির বেহাল অবস্থা। কাদাময় রাস্তাটি দিয়ে হাঁটতে গেলে নষ্ট হয় কাপড়। এবড়োখেবড়ো পুরো রাস্তা। কোথাও কোথাও ভেঙ্গেও গেছে বেশ। যানবাহনে চড়েও সারা রাস্তাজুড়ে খেতে হয় ঝাঁকুনি শুকনা মৌসুমে ধুলোবালি এসে ঢোকে নাকে-মুখে।’
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বৃষ্টি হলেই সড়কের এই কাঁচা অংশে জমে থাকে পানি আর কাদা। আটকে যায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ যানবাহন।’
যাত্রীদের ঠেলতে হয় গাড়ি। কাদা মাড়িয়ে চলতে হয় বলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে এবং গাড়ির যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যায় জানালেন অটোরিকশা, সিএনজি চালকরা। অথচ এই রাস্তা দিয়েই প্রতিনিয়ত যাতায়াত করেন কৃষকদের সবজিবাহী যানবাহন, বৃদ্ধ, প্রসূতি নারী, অসুস্থ রোগী ও মসজিদ-মাদরাসা, স্কুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীসহ হাজার হাজার মানুষ।’
স্থানীয়দের ভাষ্য, গত ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পল্লী খাতে নজিরবিহীন উন্নয়ন কাজ হয়েছে। তারপরেও আজ পর্যন্ত এর সামান্যতম ছোঁয়া পায়নি জয়পুর মসজিদ বাজার থেকে হরিনখোলা পর্যন্ত তিন কিলোমিটার রাস্তা। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশ্ন,‘কী অপরাধে এত কষ্ট পাচ্ছে ইউনিয়নের সাধারন জনগনের, প্রসূতি নারী, অসুস্থ রোগী ও মসজিদ-মাদরাসা, স্কুল ও কলেজগামী ছাত্র ছাত্রীসহ হাজার হাজার মানুষের?’
চৌমুহনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সোহাগ বলেন, ‘এই রাস্তার জন্য কয়েকটি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ কষ্ট করছে। রাস্তাটি পাকা করার জন্য আমি নির্বাচিত হওয়ার পর সরকারি বিভিন্ন দফতরে যোগাযোগ করেছি। রাস্তাটির বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয় মাধবপুর উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা শাহ আলম এর সঙ্গে। তিনি বলেন, রাস্তাটি দ্রæতই পাঁকা করনের তালিকা ভুক্ত করা হবে।’