মাহমুদুল হাসান শুভ কাজীপুর সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
ফের মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কবলে উওরের জেলার সিরাজগঞ্জ কাজীপুর শেষ পৌষে দাপটে শুরু করেছে মাঘের শীত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসের তান্ডবে বিপযন্ত পরিস্হিতিতে পড়েছে এ জনপদ। তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা।
আজ ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন কাজীপুরে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ঘন কুয়াশার কারুণে দেখা মিলছেনা সৃর্য।
বিকেল থেকেই আবার হিমেল বাতাস বইছে উওর -পৃর্ব বা উওর পশ্চিম দিক থেকে যে বায়ু প্রবাহিত হওয়ার কারুণে শীতের তীব্রতা বেশি হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় ঘুরে দেখা গেছে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা রয়েছে সৃর্য।সকাল থেকে বিরাজ করছে মেঘাচ্ছন্ন পরিবেশ। তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের পেশাজীবিরা।
আরও পড়ুন …
শ্রমিক, দিনমজুর, থেকে নানান শ্রমজীবী মানুষ। কমে গেছে তাদের দৈনন্দিন রোজগার। পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করছেন তারা। প্রয়োজন ছাড়াও অনেকে ঘর থেকে বের না হলেও জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই শীত উপেক্ষা করেই কাজে বেড়িয়েছেন নিম্ন আয়ের পেশাজীবিরা। বিপাকে পড়েছেন চাষিরাও। তারাও ঠান্ডার প্রকোপের কারণে খেতখামারে কাজ করতে পারছেন না। শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষদের মিলছে না প্রয়োজনীয় গরম কাপড় কাপড়। রাস্তায় চলা ভবঘুরে মানুষরাও পড়েছে শীত দূর্ভোগে।
লাল মিয়া বলেন, কুয়াশা থাকলেও করার কিছু নাই ভাই। আমরা গরীব মানুষ। ঠান্ডায় তো পেটে ভাত দিবে না। গত দুইদিন ধরে কাজ করতে পারিনি। আজ বাধ্য হয়েই কাজে বেড়িয়েছি। কাজ করলে পেটে ভাত জুটবো।
দিন মজুর আনোয়ার হক জানান, খুব ঠান্ডা। কিন্তু কি করবো। দিন মজুরী করে সংসার চলে। তাই কুয়াশা আর ঠান্ডার মধ্যেই কাজ করতে যাচ্ছি। কাজ না করলে চলমু কেমন করে।
ভ্যান চালক বিপ্লব মিয়া বলেন, একদিকে ঠান্ডা, তার মধ্যে ঘন কুয়াশা। কুয়াশার কারণে সহজে ভ্যানে চড়তে চায় না কেউ। তাই ভাড়া মারতে পারছি না। কয়েক দিন ধরেই ভাড়া নেই। গতকাল সারাদিনে মাত্র ৫০ টাকা ভাড়া মারছিলাম। এটা দিয়ে কি সংসার চলবে। কুয়াশার মধ্যেই সকালে ভ্যান নিয়ে বের হলাম। আল্লাহর রহমত থাকলে কামাই হবে।
এদিকে শীতের কারণে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু থেকে বয়স্ক মানুষ। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন চিকিৎসকরা।