তানসেন আলী মন্টু ক্রাইম রিপোর্টার
বগুড়া-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক বিএনপি নেতা ডা. জিয়াউল হক মোল্লার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাহীন মোস্তফা কামাল ফারুক। স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন উল্লেখ করে নির্বাচন বিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ দাবি করেছে নন্দীগ্রাম উপজেলা জাতীয় পার্টি।
গতকাল সোমবার দলটির প্রার্থী ও নেতাদের পক্ষে উপজেলা জাপার যুগ্ম সদস্য সচিব রাসেল মাহমুদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানানো হয়। জাতীয় পার্টির নেতাদের অভিযোগ, স্বতন্ত্র প্রার্থী তার জনপ্রিয়তা বাড়ানোর জন্য জনগণের সামনে দাঁড়িয়ে প্রতারণা মূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। নন্দীগ্রাম উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের দাসগ্রাম বাজারে নির্বাচনের প্রচারণার সময় জনগণের উপস্থিতিতে ওই প্রার্থী বক্তব্য দেন, ‘আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জাসদসহ সব রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এক-কাতারে এসে তার পক্ষে কাজ করছেন, এমন বক্তব্যের একটি ভিডিও ফেসবুকে প্রচার হয়েছে। এ কারণে বিভ্রান্ত হচ্ছেন জাতীয় পার্টির কর্মী-সমর্থক ও ভোটাররা। অন্যদিকে উপজেলা জাতীয় যুব সংহতির আহবায়ক আমিনুল ইসলাম জুয়েল পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, জাতীয় পার্টি ও জাতীয় যুব সংহতিসহ অঙ্গ সংগঠনের কোনো নেতৃবৃন্দ স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছে না। জিয়াউল হকের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী শাহীন মোস্তফা কামাল ফারুক।
উপজেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক মেহেদী হাসান মাফু জানান, জাতীয় পার্টির প্রার্থী দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে লাঙ্গল প্রতীকে নন্দীগ্রাম ও কাহালু উপজেলায় নিয়মিত গণসংযোগ করছেন। দলীয় প্রার্থী ভোটের মাঠে থাকার পরও স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিভ্রান্তিকর বক্তব্যে নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ। জিয়াউল হক কাহালু উপজেলায় নির্বাচনের প্রচারণায় গিয়ে ভোটারদের হুমকি দিয়ে বলেছেন, ‘এবারের নির্বাচনে যাঁরা ভোটকেন্দ্রে যাবেন না, তাঁদের জন্য সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা হয়ে যাবে’। তিনি নির্বাচনের আচরণবিধি লক্সঙ্ঘন করেছেন।
এ ব্যাপারে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ডা. জিয়াউল হক মোল্লার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রমাণসহ অভিযোগ পেলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।