1. salmankoeas@gmail.com : admin :
বয়স্ক কিংবা বিধবা ভাতা তার ভাগ্যে জুটেনি ! একটি ঘরের আশায় বিধবা জবেদা - দৈনিক ক্রাইমসিন
বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৪৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
পটুয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয় ডিন কাউন্সিল সিনিয়র শিক্ষক, অধ্যাপক জামাল হোসেনকে ভিসির দায়িত্ব প্রদান। মাধবপুরে দেশীয় অ স্ত্র স হ আন্তঃজেলার ৪ ডা কা ত গ্রে*প্তার বন্যায় রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা! পটুয়াখালী ভার্সিটিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মতবিনিময় সভায় বিএনপি পন্থীদের বাধা। মাধবপুরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধার কফিনে ফুলদিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন পটুয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি শূন্য, সিভি জমা দিয়েছেন ৭জন শিক্ষা মন্ত্রনালয়। চাকুরী ফিরে পেয়েছেন ৬জন।। দেওয়ানগঞ্জে বীর হলকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোটি টাকার অভিযোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত মাদ্রাসা সুপারের পদত্যাগের দাবিতে ইউএনও অফিস ঘেরাও! পটুয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতিবাজদের, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন। নন্দীগ্রামে বুড়াইল ইউনিয়ন বিএনপি’র কর্মী অনুষ্ঠান ও মতবিনিময় সভা

বয়স্ক কিংবা বিধবা ভাতা তার ভাগ্যে জুটেনি ! একটি ঘরের আশায় বিধবা জবেদা

ক্রাইমসিন ডেস্ক :
  • Update Time : বুধবার, ৩০ আগস্ট, ২০২৩
  • ১১৪ Time View
বয়স্ক কিংবা বিধবা ভাতা তার ভাগ্যে জুটেনি ! একটি ঘরের আশায় বিধবা জবেদা

ক্রাইমসিন ডেস্ক :

বিশ বছর আগে বিধবা হয়ে যাওয়া জবেদা খাতুনের বয়স এখন ৫৮। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে নিভে যাচ্ছে তার চলাফেরার শক্তি।শরীরে বাসা বেঁধেছে নানা রোগ।বয়সের ভারে হাঁটাচলা তার পক্ষে কষ্টকর।বয়স্ক ভাতা কিংবা বিধবা ভাতা তার ভাগ্যে জুটেনি,জুটেনি আশ্রায়নেও ঠাঁই।;

দুমুঠো অন্নের জন্য তাকিয়ে থাকতে হয় সমাজের মানবিক মানুষের দিকে। নেই মাথাগোঁজার ঠাঁইটুকুও।বৃদ্ধা জবেদা খাতুনের বাড়ি হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বহরা ইউনিয়নের হবিবপুর গ্রামে।;

সেখানে তার ভিটেবাড়ি বলতে কিছুই নেই। বসবাস করছেন অন্যের জায়গায় তাও আবার, দুর্বিষহ অবস্থা। তবুও নিরুপায় হয়ে সেখাইনেই বাস করতে বাধ্য হচ্ছেন তিনি।;

নিকটাত্মীয় বলতে একছেলে ও এক মেয়ে ছাড়া কেউই নেই তার।মেয়ে বিয়ে হয়ে স্বামীর ঘরে আর ছেলে করেন দিনমজুরের কাজ।এভাবেই কষ্টে দিন পার করছেন ভূমিহীন বৃদ্ধা জবেদা।;

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, হবিবপুর গ্রামে ১ সন্তান নিয়ে অন্যের আশ্রয়ে দেওয়া ছোট একটি মাটির ঘরে বাস করছেন তিনি। সেখানে এলোমেলো পুরনো কাপড়-চোপড়। এককোণে চুলা, আর চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হাড়ি-পাতিল।;

এসব নিয়েই তার সংসার। কষ্টের জীবনের কথা জানতে চাইলে অশ্রুভেজা চোখে জবেদা বলেন, ‘বাবারে খুব কষ্ট করি।অন্যের জায়গায় একট মাটির ঘরে থাকি, শীতের রাইত আইলে (রাতে) বাতাসে গাও (শরীর), আত (হাঁত) ও পাও ঠান্ডা ওইয়া যায়। থড়থড় কইর‌্যা কাঁপি।;

অসুখ-বিসুখ লইয়া কষ্টে আছি। টেকার অভাবে ওষুধ (ঔষধ) ও কিনতে পারি না। হুনছি (শুনছি) সরকার নাকি আমার মত অসহায় মানুষ রে ঘর দেয়,একটা সরকারি ঘর যদি পাইতাম হেই ঘরে শান্তিতে থাকতে পারতাম।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃদ্ধা জবেদা খাতুনের বিয়ে হয়েছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক গ্রামে।

২০ বছর আগে
স্বামী মারা যাওয়ার পর জাবেদা খাতুন চলে এসেছিলেন বাবার বাড়ি হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার হবিবপুর গ্রামে। সেখানে বোন জামাই এর আশ্রয়ে ছিলেন তিনি,বেশ কিছুদিন আগে সেই বোন জামাইটাও মারা যায়।;

কিন্তু নানা কারণে এখন আর ঠাঁই হচ্ছে না সেখানে।বৃদ্ধা জবেদা খাতুনের ঘরের বিষয়ে জানতে চাইলে বহরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন জানান, ‘আসলে বিষয়টি আমার জানা নেই,আপনার কাছে গেছে নাকি।;

আমার কাছে কখনো কোনো আবেদনও করেননি।ভবিষ্যতে যদি কোনো সুযোগ আসে তখন তার জন্য কিছু করতে চেষ্টা করবো।;

মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আহ্সান জানান,’বিষয়টি আমার জানা নেই।।তিনি যদি আবেদন করেন তবে তার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখবো এবং তাকে পূর্ণবাসনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগীতা করবো।;

আরও পড়ুন ….

হবিগঞ্জের মাধবপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১২

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

আপনার প্রতিষ্টানের বিশ্বব্যাপি প্রচারের জন্য বিজ্ঞাপন দিন

© All rights reserved © 2023 দৈনিক ক্রাইমসিন
Theme Customized BY ITPolly.Com