মোঃ মেহেদী হাসান মুন্না, রাজশাহীঃ
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধ-দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র,নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসবাদী কর্মকান্ডের প্রতিবাদে
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সহযোগী সংগঠন জাতীয় যুবজোট রাজশাহী মহানগরের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল বিকাল ৪ টায় বিক্ষোভ মিছিলটি নগরীর গণকপাড়া মোড় থেকে বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জাতীয় যুবজোট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক
রাজশাহী মহানগর সভাপতি মো.শরিফুল ইসলাম সুজনের
সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সম্পাদক মহানগর সাধারণ সম্পাদক সুমন চৌধুরীর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় বক্তব্য রাখেন,জাসদ নেতা শামসুজ্জামান শামসু, জাতীয় যুবজোট মহানগর সহ সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন রনক,সংখ্যালঘু আদিবাসী বিষয়ক সম্পাদক প্রেমানন্দ দেবনাথ,আইন বিষয়ক সম্পাদক পাভেল ইসলাম মিমুল,জেলার সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম মাসুদ,বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জাসদ কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি আব্দুল মজিদ,মহানগর সাধারণ সম্পাদক সিহাব উদ্দিন সোহাগ প্রমুখ।
আরও পড়ুন ….
বিক্ষোভ মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন,জাতীয় যুবজোট রাজশাহী জেলার সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দেলু, মহানগর যুবজোটের বিজ্ঞান ও তথ্য গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক তাওহীদ হাসান,কৃষি বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সজীব,প্রচার প্রচারণা বিষয়ক সম্পাদক অনিক,পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব,সদস্য তানভীর ইসলাম লিয়ন, রাসেল, লিটন,সাইফুল ইসলাম, সাইদসহ যুবজোট, ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
শরিফুল ইসলাম সুজন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে জামাত-জঙ্গি-বিএনপি সন্ত্রাসী চক্রকে দমন ও ক্ষমতার বাইরে রাখতে হবে।
বিএনপি-জামায়াতের জন্ম হয়েছিলো এই দেশে একটি হত্যা কান্ডের মধ্য দিয়ে। তারা কখনো দেশের উন্নয়ন ও শান্তি চাইনি। তারা কথায় কথায় দেশকে অরাজকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাই। বিএনপি-জামায়াত শান্তি সমাবেশের নামে আগুন সন্ত্রাস তৈরী করেছে।
মানুষ পুড়িয়ে মেরে ফেলছে। দায়িত্ব পালন কালে এক পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। তার ছোট শিশু বাবা বাবা বলে আহাজারি করছে। এমন নির্মম হত্যাকান্ড মেনে নেওয়া যায় না।
বিএনপি-জামাত গণতন্ত্রের ফেরেস্তা না,রাজনীতির শয়তান-সন্ত্রাসী দানব।খুনী-দন্ডিত-আগুন সন্ত্রাসীদের কোন ছাড় নেই।তারা দেশকে অস্থিতিশীল করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাচ্ছে।১৪ দল তা হতে দেবে না।
জঙ্গিবাদী-দুর্নীতি-লুটপাটকারীদের দমন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম এর ভেতরেই বৈষম্য অবসান করে সমাজতন্ত্রের পথের সংগ্রামও এগিয়ে নিতে হবে।
সাধারণ সম্পাদক সুমন চৌধুরী বলেন, সারাদেশে মানুষের কাছে একটি প্রশ্ন এই অবরোধ,আগুন সন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও কেন?যারা এটি আহ্বান করেছে তাদের কাছে প্রশ্ন করলে তারা এর সঠিক উত্তর দিতে পারে না। শুধু একটি কথা বলে,যতক্ষণ পর্যন্ত সরকার পদত্যাগ না করবে,তারা নির্বাচনে যাবে না। আমরা বলতে চাই দেশের সর্বোচ্চ আদালত রায় দিয়েছে বাংলাদেশের নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন নেই।উন্নত বিশ্বে যেভাবে নির্বাচন হয়, ভারত, ইংল্যান্ড সহ অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়,সেভাবেই বাংলাদেশে নির্বাচন হবে।
পাভেল ইসলাম মিমুল বলেন, আমরা রাজশাহীর মানুষ শান্তি প্রিয় মানুষ। রাজশাহীতে কোন নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে মানুষ হত্যা করলে দাঁতা ভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে।বিএনপি ফাটা কলসি বাজে বেশি আসুন সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশি বিদেশি সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন ও শান্তির স্বপক্ষে গনতান্ত্রিক অভিযাত্রা অব্যহত রাখি।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বিএনপি-জামাত ও তাদের রাজনৈতিক সঙ্গীদের এ দূরাশা বাংলাদেশের জনগণ কখনই সফল হতে দিবে না।তাদের আসল উদ্দেশ্য নিরপেক্ষ নির্বাচন না,তাদের আসল উদ্দেশ্য আগুন সন্ত্রাস-সহিংসতা-
নাশকতা-অন্তর্ঘাতের পথে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করে নির্বাচন বানচাল করা এবং অস্বাভাবিক-
অসাংবিধানিক সরকার আনা।