হবিগঞ্জের মাধবপুরে ব্রী ২৮ জাতের ধান চাষ করে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছে কৃষকরা। জানাযায় এই জাতের ধানের চাল সরু হওয়ায় ভোক্তাদের নিকট এর চাহিদা বেশি।
তাই কৃষকেরা লাভের আশায় এই ধানের আবাদ বেশি করেন। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও এই ধানের চাষাবাদ করে চল্লিশ থেকে শতভাগ পর্যন্ত চিটা হওয়ায় লোকসানের মুখে পড়েছে চাষিরা।
জগদীশপুর ইউনিয়নের সন্তোষপুর গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত এক কৃষক জানান এবছর ২৮ জাতের ধান চাষের আগে কৃষি বিভাগের কোন কর্মকর্তা তাদের সতর্ক করেননি।
এলাকার অর্ধেক কৃষক এই ধান চাষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে তিনি জানান।
একজন কৃষক তার ষাট শতাংশ জমির পুরোটাই চিটা হওয়ায় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। তবে ওই এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান এর দায় চাপাচ্ছেন কৃষকদের উপর।
তিনি জানান, এই জাত অনেক পুরোনো হয়ে গেছে। এছাড়া এবছর গরম বেশি হওয়ায় এই সমস্যা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদে আমাদের অফিস আছে। কৃষকেরা এখানে এসে পরামর্শ নিতে পারেন।
গত দুই বছর যাবত ২৮ জাতের ধান না করে এর বদলে নতুন জাত ৮৮ চাষাবাদের জন্য আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি।
যারা আমাদের কাছে পরামর্শ নিতে আসেনি তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: আল মামুন হাসান জানান, তিনটি কারণে এই সমস্যা হয়েছে।
প্রথম কারণ গরম আবহাওয়া, দ্বিতীয় কারণ সময়মতো ছত্রাকনাষক ব্যবহার না করা এবং তৃতীয় কারণ ২৮ জাতটি প্রায় পঁচিশ বছরের পুরনো তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে।
আমরা কয়েকবছর যাবত কৃষকদের ২৮ ও ২৯ জাতের ধান চাষে অনুৎসাহিত করে আসছি। যার ফলে এবছর মাত্র দুই হাজার হেক্টর জমিতে ২৮ এবং সতেরশো হেক্টর জমিতে ২৯ ধানের আবাদ হয়েছে।
তিনি কৃষকদের সব সময় নতুন জাতের ধান চাষাবাদের অনুরোধ করে বলেন, আগামীতে সরকারি প্রণোদনা আসলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করে সহায়তা করা হবে ।
সব সাম্প্রতিক খবরের জন্য,দৈনিক ক্রাইমসিন গুগল নিউজ চ্যানেল অনুসরণ করুন।
4 thoughts on "ব্রী ২৮ ধান চাষ করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক দায় কার ! দৈনিক ক্রাইমসিন"