মাধবপুর প্রতিনিধিঃ-
মাধবপুরে সীমান্ত পিলার সংলগ্ন এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলণে বাঁধা দেওয়ায় সোহরাব উদ্দিন নামের এক মেম্বারকে ছুরিকাঘাত ও বেদম প্রহার করেছে একই ইউনিয়নের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার লিজা সুলতানার ছেলে রাফি মিয়া। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের দেবপুর গ্রামে।এ ঘটনায় লিজা সুলতানার ইন্ধন রয়েছে বলে জানা গেছে। সোহরাব উদ্দিন ধর্মঘর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার। লিজা সুলতানা ১, ২ ও ৩ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করেছেন সোহরাব।
অভিযোগ সূত্রে ও প্রতক্ষ্যদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা যায় মহিলা মেম্বার লিজা সুলতানার ছেলে রাফি মিয়া দীর্ঘদিন ধরে ভারত সীমান্ত ঘেষা দেবপুর এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলণ করে আসছিল।গত মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট ) ট্রলিযোগে বালু পাচারকালে সোহরাব মেম্বার রাস্তাঘাট নষ্ট হচ্ছে যুক্তি দেখিয়ে রাফিকে বাঁধা দেন। এসময় উত্তেজিত হয়ে রাফি মিয়া ও তার সঙ্গে থাকা লোকজন সোহরাব উদ্দিনকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।তারা সোহরাবের বাম হাতে ছুরি দিয়ে আঘাত করে।সোহরাব মেম্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন।পরদিন ধর্মঘর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ পারুল উভয়পক্ষকে নিয়ে বসে ঘটনার মিমাংসা করে দেন।১৫ আগস্ট সকালে ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে চেয়ারম্যান মেম্বারদের উপস্থিতিতে লিজা সুলতানা সোহরাব মেম্বারকে জুতাপেটা করতে উদ্যত হন। উপস্থিত লোকজন লিজাকে নিবৃত্ত করেন।এদিকে লিজা সুলতানার ছেলে রাফি মিয়া মেম্বার সোহরাব উদ্দিনকে প্রাণে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন বলে সোহরাব উদ্দিন জানিয়েছেন।ঘটনার বিষয়ে জানতে আমার হবিগঞ্জ পত্রিকার মাধবপুর প্রতিনিধি জাকির হোসেন মোবাইল ফোনে লিজা সুলতানার সাথে যোগাযোগ করলে লিজা জাকিরের সাথে দূর্ব্যবহার করেন বলে জাকির হোসেন জানিয়েছেন।এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী সোহরাব উদ্দিন মেম্বার ফজলুর রহমান, রাফি মিয়া ও লিজা সুলতানার বিরুদ্ধে আজ বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) মাধবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। লিজা সুলতানার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ধর্মঘর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ পারুল জানান, ‘দুই মেম্বারের মধ্যে পারিবারিক বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে।আমি একবার মিটমাট করে দিয়েছি।তারপরও বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবো।’