মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জের মাধবপুরের লোহার গেট বানিয়ে বেড়া দিয়ে সরকারি রাস্তার ব্রিজ দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে । উপজেলার আন্দিউরা ইউনিয়নের আন্দিউরা গ্রামের মধ্যপাড়া মহল্লার রিনা বেগম (৪০) নামে এক মহিলার বিরুদ্ধে উঠেছে রাস্তার ব্রিজ দখলের এমন অভিযোগ উঠেছে।
সরকারি রাস্তায় এমন প্রতিবন্ধকতা তৈরির প্রতিবাদ ও লিখিত অভিযোগ করেও কোনো সুরাহা পাচ্ছেন না স্থানীয়রা।এলাকাবসীর পক্ষে শেখ মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম সোহেল মাধবপুরের ইউএনও কাছে আবেদন করেও পাননি কোন সমাধান।
জানা যায়,উপজেলার আন্দিউরা ইউনিয়নের আন্দিউরা গ্রামের মধ্যপাড়া মহল্লার সরকারি রাস্তাটি দিয়ে ওই গ্রামের হাজার হাজার মানুষের চলাচল।সরকারিভাবে একটি ব্রিজও নির্মাণ হয়েছে। রিনা বেগম স্বত্ব মামলার অজুহাত দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি দখল করে আসছে। কিন্তু ইদানীং কয়েক মাস ধরে তিনি ব্রীজটিতে লোহার গেইট তৈরি করেছেন।এতে স্থানিয় হাজার হাজার মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।কেউ প্রতিবাদ করলে হামলা মামলার স্বীকার হচ্ছে।ভয়ে কেউ সরাসরি প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না।শুধু তাই স্থানীয় ভূমি অফিস প্রতিবেদনে রাস্তা দখলের জন্যে বিনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সুপারিশ করলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। সে তার পরিবারের এক সেনা সদস্যের নাম ভাঙ্গিয়ে জনমনে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করে।স্বামী সৌদি প্রবাসী সুবিধাও সে নিতে চায়।রাস্তা দখলে বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে ধর্ষন মামলার হুমকি দেওয়া হয়।সম্প্রতি স্থানীয় শেখ ফখরুল ইসলাম সোহেল নামে এক লোক রাস্তা দখলের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের করলে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষন মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে যা তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রিনা আক্তার বলেন,আমার টাকা দিয়ে ব্রিজ নির্মাণ হয়েছে। ইউএনও পুলিশের সাধ্য নেই আমাকে কিছু করার।তারা ঘুষ খেয়ে ভুল প্রতিবেদন দেয়। আমার ভাইও আর্মির কর্মকর্তা, আর্মিইএখন দেশ চালাচ্ছে।আপনার মত ভুয়া সাংবাদিক আমাদের চেনা আছে।
স্থানীয় ইউনিয়নের পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ আফজাল চৌধুরী জানান,ওই মহিলা কারো কথা শোনে না। বেআইনিভাবে সে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। আমরাও চাই যে এর একটি বিচার হোক।
স্থানীয় বাসিন্দা শেখ মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম জানান,রিনা বেগমের নামে অসামাজিক কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে। কিভাবে সরকারি রাস্তায় ব্রিজের মধ্যে বেড়া দিতে পারেন ওই মহিলা তা আমাদের বোধগম্য নয়।দেশের সকল আইন যেন তার হাতেই।এ নিয়ে একাধিক অভিযোগ আমরা দায়েরও করেছি। আমরা এর দ্রুত প্রতিকার চাই।
মাধবপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) জাহিদ বিন কাসেম জানান,ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি।বিষয়টা নিয়ে অনেক আগ থেকেই বিরোধ চলে আসছিল।দ্রুতই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এলাকার সচেতন মহলের দাবি,এলাকার আতঙ্কবাদী রিনা বেগমের অপকর্মের বিরুদ্ধে এবং সরকারি রাস্তা দখলের অপরাধে দ্রুত তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা।