1. salmankoeas@gmail.com : admin :
মাধবপুরে ফিল্টারে ভাটা - দৈনিক ক্রাইমসিন
বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৫২ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
মাধবপুর ছাত্রদের উপর হামলা ও ভাংচুর এর মামলায় যুবলীগ নেতা গ্রেফতার দুমকিতে উপজেলা শ্রমিক লিগের কমিটি পদ থেকে সহ-সভাপতি খলিল পদত্যাগ করলেন।। মাধবপুরে বিনামূল্যে ছাগল ভেড়ার পিপিআর টিকা ক্যাম্পেইন। দুমকিতে আওয়ামী’লীগের ৩ নেতা আটক। সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন বন্যার্তদের সাহায্যার্থে পটুয়াখালী ভার্সিটি’র পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার মাধবপুর প্রাথমিক শিক্ষকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান হবিগঞ্জে জি.কে.গউছ’র বিরুদ্ধে কটুক্তি প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ মাধবপুরে জি.কে.গউছ’র বিরুদ্ধে কটুক্তি প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শাহজীবাজার রাবার বাগানে ২৩২টি রাবার গাছের চারা কর্তন করলো দুর্বৃত্তরা।

মাধবপুরে ফিল্টারে ভাটা

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • Update Time : শুক্রবার, ২ জুন, ২০২৩
  • ৭৮ Time View
মাধবপুরে ফিল্টারে ভাটা

খাবার পানিকে বিশুদ্ধ রাখতে বেশ জনপ্রিয় ছিল মাধবপুরে তৈরি ফিল্টার। এ ফিল্টার শিল্পের জন্য একসময় বিখ্যাত ছিল মাধবপুর। মূলত পাথর, লাইমস্টোন পাউডার, সিমেন্ট, বালি আর মোজাইক মিশ্রণ দিয়ে তিন স্তরবিশিষ্ট ফিল্টার বানাতে গিয়ে দম ফেলার ফুসরত পেতেন না শ্রমিকরা।

পরবর্তী সময়ে এতে টাইলস লাগানো হয়। সারা দেশেই এর চাহিদা বেড়ে যায়। দামে সস্তা, মানে উন্নত বলে বিভিন্ন জেলা থেকে এসে এ ফিল্টার কিনে নিয়ে যেতেন ক্রেতা ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী।

কিন্তু বর্তমানে বিকল্প ফিল্টার এসে যাওয়ায় এর চাহিদায় ভাটা পড়েছে। শ্রমিক সংকট, বিনিয়োগ সংকট, উপকরণের মূল্যবৃদ্ধি ও তীব্র প্রতিযোগিতার কারণে মাধবপুরে ফিল্টার শিল্পে নেমে এসেছে দুঃসময়।

মাধবপুর পৌরসভার অমিত ফিল্টারের মালিক পরিতোষ রায় জানান, ১৯৪৭ সালে সর্বপ্রথম হীরালাল রায় এ ফিল্টার আবিষ্কার করেন। খাবার পানিকে বিশুদ্ধ ও ঠাণ্ডা রাখতে বেশ কার্যকর এ বিশেষ ধরনের পানির ফিল্টার, পাথর, লাইমস্টোন পাউডার, সিমেন্ট ও বালি ইত্যাদি দিয়ে তৈরি।

প্লাস্টিক, স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি ফিল্টার এসে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। এ কারণে মাধবপুরের ফিল্টার এখন প্রায় উঠে যেতে বসেছে। বাবা-দাদার ঐতিহ্যের পেশা হিসেবে কোনো রকমে এ পেশাকে ধরে রেখেছি।

এ ফিল্টার তৈরিতে খরচ বেড়ে যাওয়ায় অনেক ব্যবসায়ী ভিন্ন ব্যবসায় মনোনিবেশ করেছেন। একদিকে যেমন কমেছে কদর, অন্যদিকে বিলুপ্তির পথে এই ফিল্টার শিল্প।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, মাধবপুর উপজেলায় ফিল্টার তৈরির ছোটবড় ২২টি কারখানা এখনো রয়েছে। এসব কারখানায় দুই শতাধিক লোক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। ইসলামিয়া ওয়াটার ফিল্টারের খলিল মিয়া জানান, ২০ বছর ধরে তিনি এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত।

করোনা মহামারির পর থেকে এ শিল্পের কোনো উন্নতি নেই। তার, লোহা, বালি, পাথর, সিমেন্ট ও কাঠের দাম বৃদ্ধির ফলে কোনোরকম চলছে এ শিল্প। শুধু নিজের ও শ্রমিকদের পরিবার পরিজনের কথা চিন্তা করে এ শিল্পকে ধরে রেখেছি।

পপি ওয়াটার ফিল্টারের লিটন বিশ্বাস জানান, এ ব্যবসা টিকিয়ে রাখা খুব কষ্টকর। একদিকে বাজার সংকুচিত হয়ে এসেছে, অন্যদিকে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে গেছে। ফলে বাজারে প্রতিযোগিতাও বেড়ে গেছে।

মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আহসান বলেন, এখানে তৈরি পানির ফিল্টারের খ্যাতি আছে। এ শিল্পকে ধরে রাখতে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

আপনার প্রতিষ্টানের বিশ্বব্যাপি প্রচারের জন্য বিজ্ঞাপন দিন

© All rights reserved © 2023 দৈনিক ক্রাইমসিন
Theme Customized BY ITPolly.Com