ক্রাইমসিন নিউজ ডেক্স :
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা চৌমুহনী ইউপির সীমান্তবর্তী কমলপুর গ্রামে থেকে একটি বিলুপ্ত ও বিরল প্রজাতির লজ্জাবতী বানর(স্লো লরিশ) উদ্ধার করছে পাখি প্রেমিক সোসাইটির সদস্যরা।প্রানিটি দেখতে এলাকার মানুষ ভিড় জমায়।
(১৭ এপ্রিল) সোমবার বিকালে সীমান্ত ঘেষা ভারতের ত্রিপুরা এলাকার বনাঞ্চল থেকে খাদ্যের সন্ধানে বাংলাদেশে আসে বলে ধারনা করা হচ্ছে।প্রানীটিকে ঈগল ও কাক আক্রমন করলে এটিকে বাচিয়ে নিরাপদে রাখে পাখী প্রেমিক সোসাইটির সদস্যরা।পরে কয়েক ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে এটিকে খাচায় বন্দি করা হয়।দেয়া হয় প্রাথমিক চিকিৎসা ও খাবার-পানি।
পাখি প্রেমিক সোসাইটির সদস্য কায়েম মিয়া বলেন,অত্যন্ত সাবধানতা ও ঝুঁকি নিয়ে প্রাণীটিকে আমরা নিরাপদে খাঁচা বন্দী করি। পরে বন বিভাগের লোকজনকে খবর দেই।বানরটিকে প্রথমে ঈগল এবং কাক আক্রমণ করেছিল। সেখান থেকে আমরা এটিকে বাচাই।
হবিগঞ্জের বিভাগীয় কর্মকর্তা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী জানান, কিছু দিন আগেও আগেও পাখি প্রেমিক সোসাইটির সদস্যরা সংগঠনের একটি লজ্জাবতী বানর উদ্ধার করেছিল।আজও একটি লজ্জাবতী বানর উদ্ধার হয়েছে। আজকেও আমরা তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা নিয়ে (১৮ এপ্রিল)স্থানীয় সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের গহীন বনে বানরটিকে অবমুক্ত করেছি।এর আগে আমরা এটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করি।
আরও পড়ুন …
লজ্জাবতী বানর ইংরেজি নাম স্লো লরিস আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) লাল তালিকায় সংকটাপন্ন প্রাণী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশের ১৯৭৪ ও ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনেও এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।এই মহাবিপন্ন নিশাচর প্রানীটি অত্যন্ত অলস এবং এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এরা অত্যন্ত বিষাক্ত প্রাণী। এরা রেগে গেলে আত্মরক্ষার জন্য গ্রন্থিথলি থেকে মুখে বিষ আনে এবং শত্রুকে কামড়ে দেয়। এর কামড়ে বিষাক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা ব্যয়বহুল হয়।