নিজেস্ব প্রতিনিধি:
মানুষ একটু ছুটি বা অবসর পেলেই খোলা জায়গায় বিভিন্ন পার্ক বা উদ্যানে ঘুরতে যান প্রকৃতির সান্নিধ্য লাভের আশায়। এই কর্মব্যস্ত, যান্ত্রিকতার মধ্য থেকে কিছুটা সময় খোলা আকাশের নিচে কাটানোর জন্য ছুটে যান আশেপাশের স্থানীয় পার্ক বা উদ্যানে। পার্ক বা উদ্যান এখন অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠছে অশ্লীলতা।
বিনোদনের জন্য তৈরি হলেও হবিগঞ্জ জেলা মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী মালঞ্চপুর গ্রামে অবস্থিত মালঞ্চপুর পিকনিক পার্কে বিনোদনের নামে প্রকাশ্যে চলছে অশ্লীলতা, অসামাজিক কার্যকলাপ। সর্বত্র অশ্লীলতার ছড়াছড়ি পার্কটিতে। বিনোদন বলতে কিছুই নেই। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই পার্কটিতে অসংখ্য প্রেমিক যুগলের ভীড়।
সরজমিনে দেখা গেছে, মালঞ্চপুর পিকনিক পার্কে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ফাঁকি দিয়ে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া অপ্রাপ্তবয়ষ্ক যুবক-যুবতী অনৈতিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। পার্কের ভিতরে টিন সেট ছোট রুম করা আছে। সূত্রে জানা গেছে, রুমে ১ ঘন্টার জন্য ১০০০ হাজার টাকা ভাড়া দেওয়া হয়।
প্রেম ভালোবাসার নামে এখানে লঙ্ঘন হচ্ছে অবাধ মেলামেশা ও অশ্লীলতার চরম সীমা। প্রেমের নামে নির্লজ্জহীন তরুন, তরুনী, কিশোর কিশোরীরা আবেগঘন মুহুর্ত পার করছে এখানে। এছাড়াও পার্কের মধ্যে হরেক রং বেরংঙের কাপড়, স্কুল-কলেজের নির্ধারিত পোশাক, বোরকা পরে প্রেমিকদের সাথে আদান প্রদান চালাচ্ছে প্রেমিকারা। ভালোবাসার নামে প্রকাশ্যেই তারা একে অপরকে জড়িয়ে নানা আপত্তিকর কার্যকলাপে লিপ্ত হচ্ছে। প্রেমের নামে সাময়িক সুখ পেতে জলাঞ্জলি দিচ্ছে নিজেদের আত্মসম্মান।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, পার্কে ঘুরতে আসা আশপাশের লোকজনকেও তোয়াক্কা করছে না সেই সকল তরুন তরুনীরা। নিষিদ্ধ আকাঙ্খা মিটানোর সময় ঠিক থাকে না তাদের পোশাক-পরিচ্ছদ। পার্কের ঘাস ও গাছের নিচের জায়গাগুলো তাদের বিছানায় রূপ নেয়। এবং সারি সারি প্রেমিক যুগল বসে আছে। এদের মধ্যে স্কুলের ইউনিফর্ম পরা জুটিও রয়েছে। বেশির ভাগই স্কুল-কলেজ ফাঁকি দিচ্ছে তারা।
আশেপাশে রিক্সায় বেড়াতে দেখা যায় যুবক এবং যুবতিদেরকে। যারা রিক্সার মধ্যে বসেই অসামাজিক কাজ করে। স্থানীয় রিক্সাওয়ালাদের প্রশ্ন করলে তারা জানান, আমাদের ডাবল ভাড়া দেয় আর তারা রিক্সায় বসে ফুর্তি করে চলে যায়।
পার্কের পাশে থাকা স্থানীয়রা জানান, এসব অসামাজিক কাজ এখানে প্রায় হয়ে থাকে। তবে তারা জানান পার্কের কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসন যথাযথভাবে পদক্ষেপ গ্রহনের মাধ্যমে এসব অশ্লীল আর অসামাজিক কাজ বন্ধ করা সম্ভব হতো।
এ ব্যাপারে পার্কের পরিচালক ইমরান আহমেদ এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন -বর্তমানে পার্কটি সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে চলছে। যে কেউ পরিবার নিয়ে এখানে সময় কাটাতে আসতে পারে। সাংবাদিকদের হাতে আসা ভিডিও সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন এগুলো পার্কটি তৈরি করার আগে।
এ বিষয়ে মাধবপুর থানার অফিসা ইনচার্জ
আব্দুর রাজ্জাক বলেন- গত ঈদুল ফিতরের পূর্বেই পার্কটি বন্ধ করার জন্য মালিককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যদি বন্ধ না করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।