উত্তর-পূর্ব ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের গোমতী জেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম অমরপুরে অভিযান চালিয়ে মৌলভীবাজারের চার বাসিন্দাকে গ্রেফতার করেছে ভারতীয় পুলিশ। পাসপোর্ট ও বৈধ কাগজ ছাড়া সীমান্ত অতিক্রম করায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানায় ভারতীয় পুলিশ। বুধবার (৩ মে) ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন মৌলভীবাজার জেলার বাসিন্দা মিয়া (২৯), কাজল মিয়া (৪৫), খালেক মিয়া (৫০) ও মোশাইদ আলী (২৮)। এ বিষয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে মানবজমিন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ডিএসপি (ক্রাইম) অভিমন্যু আর প্রসাদের নেতৃত্বে একটি দল ভারতের অমরপুরের ঠাকুরচেরার তিনটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নয়জন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করে, তাদের মধ্যে পাঁচজন নিজেদের পাসপোর্ট এবং বৈধ ভিসা দেখালে পরে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
তাদের আশ্রয়দাতা তিন বাড়ির মালিককেও গ্রেফতার করা হয়। মালিকরা হলেন, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য সুকুমার দাস (৬২), ব্যবসায়ী সুবীর সাহা (৬০) এবং জনৈক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী শঙ্কর চক্রবর্তী। প্রশাসনকে না জানিয়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটক চার বাংলাদেশির বিরুদ্ধে পাসপোর্ট আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছেও বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
দৈনিক ক্রাইমসিন পড়ুন আপনার প্রতিষ্টানের বিশ্ব ব্যাপি প্রচারের জন্য বিজ্ঞাপন দিন
জানা যায়, ভারতীয় নাগরিক সুকুমার দাসের বাড়িতে অভিযানের সময় পুলিশ মৌলভীবাজার জেলার বাসিন্দা অংকর মিয়া (২৯), কাজল মিয়া (৪৫) ও খালেক মিয়া (৫০) কে আটক করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে, পুলিশ সুবীর সাহার বাড়িতে অভিযান চালালে বৈধ কাগজপত্র থাকা বাংলাদেশি নাগরিকদের খুঁজে পায়।
অন্যদিকে, ত্রিপুরা রাজ্যের অমরপুর শহরের চন্ডিপাড়া এলাকায় শঙ্কর চক্রবর্তীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ পাসপোর্ট ছাড়াই সীমান্ত অতিক্রমকারী মৌলভীবাজার জেলার বাসিন্দা মোশাইদ আলী (২৮) নামের একজনকে আটক করে।
তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা এ বিষয়ে বলেন, তদন্তে এটা বেরিয়ে এসেছে যে সব বাংলাদেশি নাগরিকই একে অপরের সাথে সম্পর্কিত, তবে ভারতীয় আশ্রয়দাতাদের সাথে তাদের সম্পর্ক নেই।