1. salmankoeas@gmail.com : admin :
শিশু চা গাছগুলোর টার্গেট ‘৭০ বছর’ - দৈনিক ক্রাইমসিন
মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
কমলগঞ্জে আলোচিত পূর্ণিমা রেলী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা উদ্ধার, বিজ্ঞ আদালতে আসামি ডনের স্বীকারোক্তি মাধবপুরে ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে ইফতার মাহফিল অসহায় দরিদ্র মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই আমার মূল লক্ষ্য-সৈয়দ মোঃ ফয়সল পটুয়াখালী ভার্সিটিতে, কুরআনের শিক্ষা ও রমাদান শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত।। দুমকী উপজেলায়, সড়ক দুর্ঘটনায় পঙ্গু হয়ে ভ্যান চালকের মানবেতর জীবন-যাপন।। আমরা সবাই বাংলাদেশী সামাজিক সংগঠন এর পক্ষ থেকে ২০০ শত পরিবারের মাঝে সেহেরী ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ। নীলফামারী সাংবাদিক ইউনিয়নের ও ইফতার মাহফিল দরিদ্র মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই আমার মূল লক্ষ্য-সৈয়দ মোঃ ফয়সল কাজিপুরে সোনামুখিতে চাঁদা চেয়ে না পেয়ে ব্যবসায়ীর বাড়িতে আগুন-থানায় অভিযোগ ডিমলায় যুবদলের দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

শিশু চা গাছগুলোর টার্গেট ‘৭০ বছর’

স্টাফ রিপোর্টার :
  • Update Time : শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ৫০৩ Time View

স্টাফ রিপোর্টার॥ 

চা বাগানের একেকটি চা গাছ কতদিন বাঁচে? এই প্রশ্ন থেকেই যায় – সাধারণের কাছে। চা গাছ তো আর অমর বৃক্ষ নয়, যে আজীবন মাটি আঁকড়ে ধরে বেঁচে থেকে মানুষের মুখে তাৎক্ষণিক উদ্দীপ্ত হওয়ার পানীয়র জোগান দেবে।

প্রকৃতির অনিবার্য এবং চিরসত্যর মতো তাকেও এদিন মরে যেতে হয়। তবে কিছুটা ‘অস্বাভাবিক মৃত্যু’ মতোই। কিছুটা দুঃখবোধ থেকেই যায়- তার পাতা, ডালপালা আর ফুলেদের হাহাকারের মধ্যে। যা কেউ কখনো দেখে না। বুঝে না। প্রাপ্তবয়স্কের একটা সীমারেখা পেরোলেই প্রয়োজনে বয়স্ক চা গাছগুলোকে মাটি থেকে উপড়ে ফেলা হয়! এভাবেই চলছে চা শিল্পাঞ্চলের প্রতিটি শিল্পকাননে।

ক্যামেলিয়া সিনেনসিস’ বৈজ্ঞানিক নামের এই বৃক্ষের পাতা কোটি কোটি মানুষকে সকাল থেকে সন্ধ্যা, দুপুর থেকে বিকেল সারাক্ষণ চুমুকে চুমুকে তৃপ্ত করে চলেছে। চা এর চাহিদা তাই থেমে নেই। রেখাচিত্রে তা ক্রম ঊর্ধ্বমুখী। অনায়াসে বলা যায়- মানুষেরই মতোই পুরো একটা জীবন তার! মানুষের আয়ু প্রায় ৭০ বৎসর। চা গাছেরও তাই। একেকটি শিশু চা গাছ ৭০ বছর পর্যন্ত উৎপাদনশীলতার দীর্ঘ টার্গেট নিয়ে মাটিতে ধীরে ধীরে বেড়ে উঠে। মাটির বুকের ভেতর থেকেই প্রাপ্তবয়স্ক হবার শারীরিক শক্তি সে অর্জন করে।

আরও পড়ুর ….

এবার দয়া করে আগামী যেকোনো নির্বাচনে অংশ নিন : প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

বুধবার ১৭ জানুয়ারি সকালে শ্রীমঙ্গলের একটি চা বাগানে প্রবেশ করে দেখা গেছে, নতুন আবাদ করা মাটিতে আসন গেড়েছে শিশু চা গাছগুলো। তাদের দলগত অবস্থান টিলাময় এই সৌন্দর্যে যোগ করছে অন্যমাত্রা। এই চা উপত্যকা ঘিরে যেন বৃক্ষময় চা শিশুদের প্রাণোচ্ছ্বাস! সেকশন (চা আবাদের সুনির্দিষ্ট এলাকা) ঘিরে এ যেন পুরাতন চা বৃক্ষ আর নতুন চা বৃক্ষের দারুণ এক মেলবন্ধন। চা বাগানের মেঠোপথ দিয়ে হেঁটে গেলেই চোখে পড়ে ডানদিকে আর বামদিকে তাদের সম্মিলিত বয়সভিত্তিক উপস্থিতির চিহ্ন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, আবাদকৃত এই নতুন চা গাছগুলো বিটি-২ জাতের। বিটি-২ উচ্চ ফলনশীল জাতের (ক্লোন) চা গাছ। টেকশই এবং গুণগতমান সম্পন্ন চা উৎপাদনের লক্ষ্যে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উপযুক্ত অভিযোজন কৌশল উন্নয়নের আওতায় এ প্রকল্পটি চালু করা হয়েছে এবং বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের অর্থায়নে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।

এই নতুন ‘প্লেন্টেশন’ অর্থাৎ নতুন আবাদ প্রসঙ্গে নানান কথা হয় বাংলাদেশীয় চা সংসদ (বিটিএস) সিলেট ব্রাঞ্চ চেয়ারম্যান এবং সিনিয়র টি-প্লান্টার জি এম শিবলির সাথে। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, চা গাছের সব পাতা চা উৎপাদনে কাজে লাগে না। কোয়ালিটি চায়ের জন্য শুধু ‘দুটি পাতা এবং একটি কুঁড়ি’ই উত্তোলন করা হয়। আর একেকটি চা গাছে এই দুটি পাতা একটি কুঁড়ির সবচেয়ে ভালো মান অক্ষুণ্ন থাকে প্রায় ৭০ বছর পর্যন্ত। তারপর চা গাছগুলো তুলে ফেলে সেখানে নতুন করে প্লেন্টেশন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এই নতুন আবাদকৃত জমিকে আমরা ‘ইয়াং-টি’ বলে থাকি। এই চারাগাছগুলো কলম থেকে উৎপন্ন করা। সেগুলোকে ইরিগেশনের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে সেচ দেওয়া হচ্ছে যাতে ইয়াং-টিগুলো পানিশূন্যতার মধ্যে না পড়ে। গৃহপালিত পশুর আক্রমণের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য আবাদিভূমির চারদিকে বেড়া দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও মাটির প্রয়োজনীয় সার, পুষ্টি জন্য নানা পদক্ষেপও নিতে হয়।
রোপণের প্রায় ছয় মাসের পর থেকে এই ইয়াং-টির পাতাগুলো ম্যানুফ্যাকচারিঙে (চা প্রক্রিয়াজাতকরণ) যাবে বলে জানান জি এম শিবলি।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2023 দৈনিক ক্রাইমসিন
Theme Customized BY ITPolly.Com