মাহমুদুল হাসান শুভ কাজীপুর সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার যমুনা নদী পলি সমৃদ্ধ ভূমিতে প্রচলিত ও আধুনিক চাষ পদ্ধতিতে বিভিন্ন কৃষি ফসল উদ্বৃত্ত পরিমাণে উৎপাদন করে থাকে স্হানীয় কৃষকরা কিন্তুু এবার প্রথম নতুনত্বের আকাংখা থেকে এ ধারায় প্রতিনিয়ত যুক্ত হচ্ছে আধুনিক চাষ পদ্ধতি. যন্ত্র. নতুন প্রজন্মের শিক্ষিত সমাজ ও নতুন ফসল।
এ ধারাবাহিকতায় এবার যুক্ত হলো শীত প্রধান আবহাওয়ার বিদেশি ফসল স্ট্রবেরি বেশ কয়েক বছর ধরে দেশের বিভিন্ন স্হানে চাষাবাদে সফল হলেও শষ্য ভান্ডার খ্যাত কাজীপুরে এই প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করেছেন উপজেলার গান্ধাইল গ্রামের তরুণ ও শিক্ষিত যুবক রোকনুজ্জামান রাসেল। নিজ উদ্যোগে ২ বিঘা জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করা স্ট্রবেরি পূর্ণমাএার ফলন শুরু না হলেও গাছের ফুল এবং ফল আশা জাগিয়েছে,ফলের মানও ভালো,আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাণিজ্যিকভাবে সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন তিনি। সরকারি সহযোগিতায় কাজীপুরে অধিক লাভজনক কৃষি পণ্য হিসেবে সম্প্রসারণ ঘটতে পারে মনে করছেন সচেতন মহল স্ট্রবেরি ফ্র্যাগারিয়া জাতীয় উদ্ভিদ এবং সারা বিশ্বে এটি ফল হিসেবে চাষ করা হয়।গন্ধ. বর্ণ. ও স্বাদে আকর্ষণীয় এই ফল . ফলের রস.জ্যাম.আইসক্রিম. মিল্ক শেক এবং আরও রস.অনেক খাদ্য তৈরিতে ব্যপকভাবে ব্যবহার করা হয়। আঠারো শতকের শেষের দিকে ফ্রান্সের ব্রিটানি সর্বপ্রথম স্ট্রবেরি চাষ করা হয়। এটি পরবর্তীতে চিলি.আর্জেন্টিনা.এবং অন্যান্য স্হানে ছড়িয়ে পড়ে বর্তমানে বাংলাদেশের যেসব এলাকায় শীত বেশি পড়ে ও বেশি দিন থাকে সেসব এলাকায় বারি স্ট্রবেরি -১ নামে একটি উচ্চফলনশীল জাতের স্ট্রবেরি চাষ করা হচ্ছে।
স্ট্রবেরির পাকা ফল টকটকে লাল রঙের হয় ফলটি অনেক মিষ্টি হয়ে থাকে জমির পাশাপাশি বাসা বাড়ি বারান্দায় এ ফল চাষ করা যায়। এই ফল বিশেষ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, যশোর, সিলেট,বরিশাল, শ্রীমঙ্গল, ময়মনসিংহ,নীলফামারী, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া,এ সকল জায়গায় ব্যবসায়িক ভিওিতে স্ট্রবেরি চাষ ও বাজারজাত করা হচ্ছে।
কাজিপুরে মাটি পলি মাটি সমৃদ্ধ, সে কারুণে এখানে কম খরচ ও পরিচর্যায় ভালো ফসল ফলায় কৃষক। কাজিপুরে মাটিতে প্রধান অর্থকরী ফসল ধান ও ভুট্টা স্ট্রবেরির ফল অধিক লাভজনক একটি ফল তারপরে এটা এলাকার নতুন ফল। উপজেলার গান্ধাইল গ্রামের শিক্ষিত তরুণ উদ্যোক্তা মোঃ রোকনুজ্জামান রাসেল তার পারিবারিক ২ বিঘা জমিতে স্ট্রবেরি চাষ শুরু করেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে চারা সংগ্রহ করে রোপন করেন এবং বিভিন্ন সময়ে মোবাইলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভিডিও দেখে ও সিরাজগঞ্জে একজন সফল স্ট্রবেরি চাষির পরামর্শ নিয়ে সার,পানি,পরিচর্যা করতে থাকেন।দুই মাস পর থেকে স্ট্রবেরির গাছে ফল আসতে শুরু করেছে,এই ফল আগামী একমাস সংগ্রহ করা যাবে। কিন্তুু গরম বাড়ার সাথে সাথে ফলের আকার ছোট হতে থাকবে উৎপাদন কমতে থাকবে।
রাসেল আমাদের বলেন, ২ বিঘা জমিতে ১০ হাজার চারা,রোপন করা হয়েছিলো,আমার সব মোট ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। অনেক সামগ্রী আছে সে গুলো আবার আগামী বছরের ব্যবহার করা যাবে দাম ১২ শত টাকা থেকে ৩শত টাকা দর উঠানামা করে, আবহাওয়া যদি ভালো থাকে তা হলে ২ বিঘা জমিতে ২ হাজার কেজি,স্ট্রবেরি উৎপাদন হবে আশাকরা,যায়। যদি প্রতি কেজি,৫ শত টাকা ধরে বিক্রি হয় তা হলেও ১০ লক্ষ টাকা লাভ হবে যা অন্য ফসলের চেয়েও অধিক লাভজনক। ফল তুলে হাটে -বাজারে নিয়ে যেতে হয় না পাইকাররা নিজে এসে জমি থেকে স্ট্রবেরি তুলে নিয়ে যায়, ফলে বিপনন বিড়ম্বনা নেই বলতে চলে। এখন প্রায় গাছে ফল পাকা শুরু হয়েছে আশেপাশের স্হানীয় ও বিভিন্ন এলাকা থেকে স্ট্রবেরি দেখতে প্রতিদিন ভিড় জমায়, স্ট্রবেরি চাষ করা খুবই সহজ কাজিপুরে অনেক ব্যয় কম সম্প্রসারণে সম্ভাবনা রয়েছে।