বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীমের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে দলটি। এ সময় তারা নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) পদত্যাগ দাবি করেন।;
শুক্রবার জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেট থেকে এ সমাবেশ শুরু হয়। দলটির বিভিন্ন স্তরের নেতারা এতে উপস্থিত ছিলেন।;
এসময় দলটির নেতারা সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীমের ওপর হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগের লোকজন রক্ত ঝরিয়েছে। যত দিন এ সরকারের পতন না হবে, প্রয়োজনে তত দিন আন্দোলন চালিয়ে যাব।;
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোছাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি বলেন, বরিশালের মানুষ ভোট দেবে হাতপাখায়, কিন্তু আওয়ামী লীগের লোকেরা কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে জোর করে নৌকায় ভোট দিতে বাধ্য করেছে। সেখানে (বরিশাল সিটিতে) নৌকা নয়, হাতপাখাই জয়ী হয়েছে।;
তিনি বলেন, ইভিএমে মানুষ ভোট দিয়েছে হাতপাখা প্রতীকে, চলে গেছে নৌকায়। বরিশাল ও খুলনায় নৌকার লোক কেমন আছে, সেটা আমরা ভালো করেই জানি। সবাই নৌকাকে হটিয়ে হাতপাখাকে জেতানোর জন্যই ভোট দিয়েছেন। ইভিএম নামক যন্ত্র ব্যবহার করে সেই ভোট নৌকাতে দেখানো হয়েছে।;
সিইসির সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, মুফতি ফয়জুল করীম ইন্তেকাল করেছেন কি না, এমন বক্তব্য দিকে তিনি (সিইসি) নিজেকে মানসিক রোগী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। তার আর সিইসির দায়িত্বে থাকার যোগ্যতা নেই। এ সিইসিকে আর দায়িত্বে রাখা যাবে না। সিইসিকে মানসিক চিকিৎসা করাতে হবে।;
দলের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেন, শুধু বরিশাল আওয়ামী লীগ নয়, সরকার ও সারাদেশের আওয়ামী লীগ এ হামলায় জড়িত। আওয়ামী লীগের নেতা ও সরকারের মন্ত্রী থেকে শুরু করে নির্বাচন কমিশন, সবাই এ পাতানো নির্বাচনে জড়িত।;
Subscribe to get the latest posts sent to your email.