প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপ কাউকে লিজ দিলে ক্ষমতায় থাকতে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু সেটা তার দ্বারা হবে না। কারণ তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা। সেন্টমার্টিন দ্বীপ কে বা কারা লিজ নিতে চেয়েছে তা উল্লেখ না করে তিনি বলেন, এই দেশের কোনো সম্পদ কারও কাছে বিক্রি করে ক্ষমতায় আসতে চাই না।
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনীকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে বলেন, যেহেতু এ দেশে ওয়েস্টমিনিস্টার টাইপ অব ডেমোক্রেসি চলছে। ইংল্যান্ডের মতো জায়গায় যে রকম নির্বাচন হয়, ঠিক সেভাবে এখানেও নির্বাচন হবে। একজন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বা সরকারপ্রধান আরেকজন নির্বাচিত সরকারপ্রধান দ্বারাই প্রতিস্থাপিত হবেন। এর বাইরে অনির্বাচিত কেউ আসতে পারবে না। এটা উচ্চ আদালতের রায়ে আছে, সংবিধানেও আছে।
বুধবার সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। প্রথমে দুই দেশ সফর বিষয়ে তিনি ১৮ মিনিটের লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান। পরে প্রশ্নোত্তর পর্বে কথা বলেন প্রায় এক ঘণ্টা। এ সময় বিরোধী দলের আন্দোলন, সংসদ নির্বাচন, দলীয় এমপি প্রার্থী মনোনয়ন, প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণবিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ ও তাদের অযাচিত হস্তক্ষেপ, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব, আসন্ন ব্রিকস সম্মেলনসহ বিভিন্ন বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিলে আমিও ক্ষমতায় থাকতে পারতাম। আর এখনো যদি আমি বলি, ওই সেন্টমার্টিন দ্বীপ বা আমাদের দেশ কাউকে লিজ দেব, তাহলে আমাদের ক্ষমতায় থাকতে কোনো অসুবিধা নেই। আমি জানি সেটা। কিন্তু আমার দ্বারা সেটি হবে না। এ সময় বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল, কীভাবে? তখন তো গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। তাহলে এখন তারা দেশ বিক্রি করবে নাকি সেন্টমার্টিন বিক্রির মুচলেকা দিয়ে আসতে চায়?
গণভবনের অনুষ্ঠিত সোয়া এক ঘণ্টার সংবাদ সম্মেলনটি বিটিভিসহ বিভিন্ন বেসরকারি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল সরাসরি সম্প্রচার করে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।