নিজস্ব প্রতিবেদন :
হবিগঞ্জের মাধবপুরের বৈকন্ঠপুর চা-বাগানে স্বাধীনতার ৫৩ বছর পেরিয়ে গেলেও চা শ্রমিকদের প্রাণের দাবি একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হয়নি নির্মাণ। যুগের পর যুগ ধরে চা শ্রমিকরা স্থানীয় এমপি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করলেও পাননি কোন ইতিবাচক ফলাফল।
এর ফলে অনগ্রসর চা শ্রমিক জনগোষ্ঠী শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।নিরক্ষরতার হার দিন দিন বাড়ছে বাগানটিতে।
বাগানটিতে হাজারো অধিক চা শ্রমিক ও বাসিন্দাদের বসবাস।একটি জরাজীর্ণ কিন্ডারগার্টেন থাকলেও এটিতে রয়েছে মাত্র একজন শিক্ষক।নেই শিক্ষার মানসম্মত পরিবেশও।
বাগানটির ব্যবস্থাপক শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, আমরা একাধিকবার শিক্ষা দপ্তরে আবেদন জানিয়েছি। কিন্তু এতে কোন কাজ হচ্ছে না।
বৈকন্ঠপুর চা বাগানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে
যা শ্রমিক তথা নৃগোষ্ঠী গবেষক ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড.আশ্রাফুল করিম সারোয়ার। তিনি জানান, এত বড় চা বাগানে প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকার বিষয়টা আমারও বোধগম্য নয়।এখানে চা শ্রমিকদের সাথে মৌলিক শিক্ষার অধিকারের ক্ষেত্রে মহাবৈষম্য করা হচ্ছে।দ্রুত এখানে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য সংস্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাচ্ছি।