দৈনিক ক্রাইমসিন নিউজ ডেক্স :
হবিগঞ্জের মাধবপুরে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দেওয়ার দের মাস পলাতক থাকার পর স্ত্রী-শাশুড়ীকে গ্রেফতার করছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর থানা এলাকা থেকে তাদের প্রযুক্তির সহায়তায় গ্রেফতার করা হয়।
হবিগঞ্জের মাধবপুরে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কর্তনকারী স্ত্রীকে শ্বাশুড়ীসহ গাজিপুরের কাশিমপুর এলাকা থেকে গ্রেূফতার করা হয়েছে ।পুলিশ ও মামলার এজহার সূত্রে জানা যায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার পর জোনাকী বেগম ও তার সহযোগীরা জুসের (কোমল পানিয়) সাথে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে স্বামী হাবিব মিয়াকে পান করতে দেন। জুস পান করার কিছুক্ষন পর হাবিব ঘুমিয়ে পড়েন। এ সময় জোনাকী বেগম ও তার সহযোগিরা মিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্বামী হাবিব মিয়ার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেন। তখন হাবিব মিয়া যন্ত্রণায় চিৎকার শুরু করলে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে তার অস্ত্রোপচার করা হয়। বর্তমানে হাবিব মিয়া ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন৷ হাবিব মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থানার শশই গ্রামের রাষ্টু মিয়ার ছেলে। জোনাকী মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী এলাকার বকুল আক্তারের মেয়ে।
জোনাকি হাবিবের দ্বিতীয় স্ত্রী। এর আগে জোনাকীরও একাধিক বিয়ের খবর পাওয়া গেছে। তাদের বিয়ের কিছু দিন যেতে না যেতেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। উক্ত বিষয়ের জের ধরেই এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে জোনাকী বেগম।
ঘটনার পর হাবিবের বাবা রাষ্টু মিয়া বাদী হয়ে জোনাকী ও তার মা সহ কয়েকজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে জোনাকী ও তার মা বকুল পলাতক ছিলেন।
মাধবপুর থানার ওসি (তদন্ত) আতিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর থানা এলাকা থেকে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবু রায়হান এর নেতৃত্বে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
Subscribe to get the latest posts sent to your email.