৭ই নভেম্বর ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে রেলি ও আলোচনা সভা।
মোঃ বাদশা প্রমানিক নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
দেশের ইতিহাসে মোর ঘুরানো দিন ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। ১৯৭৫ সালের এই দিনে জিয়াউর রহমান মুক্তির দূত হিসেবে জ্বলে উঠেছিলেন সিপাহী ও জনতার মনে। যদিও তার এই অবদানকে মুছে ফেলার জন্য নানান ষড়যন্ত্র হয়েছিল। সেই ষড়যন্ত্রের জাল ছিড়ে জিয়াউর রহমান মানুষকে আশার আলো দেখিয়েছেন। মুজিব সরকারের অদূরদর্শিতা, রাজনৈতিক অব্যবস্থাপনায় কয়েকজন সেনা অফিসার খন্দকার মোস্তাক এর নেতৃত্বে শেখ মুজিবকে সপরিবারে হত্যা করে ক্ষমতার মশনদে বসতে চেয়েছিল। কিন্তু খালিদ মোশারফ সেনা বিপ্লবের মাধ্যমে মোস্তাককে হত্যা ও জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দী করে ক্ষমতায় বসে ছিল।৭ই নভেম্বর সিপাহী জনতা মিলে তার এই দুঃস্বপ্নকে ধুলিস্যাৎ করে যৌথ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করে এগিয়ে দেয় রাষ্ট্র গঠনে। মুক্তি পেয়ে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রের সকল অন্যায় দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা কঠিন হস্তে দমন করে রাষ্ট্র ও জাতিকে আলোর পথ দেখায়। জায়গা করে নেয় সকল মানুষের অন্তরে। সেই থেকে এই দিনটি জাতীয় বিপ্লব সংহতি দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটি দিবসটি উপলক্ষে কয়েক দিনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
উপজেলা বিএনপির ও এর অঙ্গ সংগঠন এরই অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় উপজেলা বিএনপির বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ মনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে এক বিশাল রেলি বের করেন। রেলিটি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে, অফিস প্রাঙ্গনে এসে আলোচনা সভায় মিলিত হন। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি সহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।
বিএনপি উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রব্বানী প্রধান তার ভাষনে বলেন, ১৯৭৫ সালে ১৫ই আগস্ট সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ মুজিবকে সপরিবারে কয়েকজন সেনা অফিসার খন্দকার মোস্তাকের নেতৃত্বে হত্যা করে। পরে খালেক মোশারফ সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মোস্তাককে হত্যা ও জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দী করে ক্ষমতায় বসেন। সেনাবাহিনীসহ দেশ ও জাতি অন্ধকারে দিশেহারা হয়ে পড়ে। রাষ্ট্র ভরে উঠে দুর্নীতি অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনায়। সেই সময় সিপাহী ও জনতা মিলে পাল্টা অভ্যুত্থানের মাধ্যমেঝ স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান কে মুক্ত করে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দেয়। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বিশৃংখল জাতিকে ঐক্যবদ্ধ, সেনাবাহিনীকে একটি সুশৃংখল বাহিনীতে রূপান্তর করে। রাষ্ট্র থেকে সকল অনিয়ম, অন্যায়,দুর্নীতি,দূর করে রাষ্ট্র ও জাতিকে আশার আলো দেখান।হয়ে উঠেন সকলের নয়নের মনি। এই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শকে ধারণ করে তার প্রাণপ্রিয় দল বিএনপিকে সুসংগঠিত করে দেশ ও জাতি গঠনে অবদান রাখব।
আলোচনা সভার সভাপতি অধ্যক্ষ মানোয়ার হোসেন তার সমাপনী বক্তব্য বলেন, আমরা শহীদ জিয়াউর রহমানের কর্মময় জীবন ও তার আদর্শকে লক্ষ্য করে, ডিমলাঁ-তোমার (নীলফামারী ১)আসনের বিএনপি ও সকল অঙ্গ সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ করে সাবেক সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম (তুহিন)হাতকে শক্তিশালী করে সংসদে পাঠাবো। ইনশাআল্লাহ!