
বিগত দিনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোন ভবন বা গাছ বিক্রয় করার সময় উপজেলা পরিষদে সবার উপস্থিতে প্রকাশ্যে ডাকের মাধ্যমে বিক্রয় করা হত।
সর্বোচ্চ দর দাতাকে জনসম্মুখে ক্রেতা হিসেবে ঘোষণা করা হত। কিন্তু এবার এসবের তোয়াক্কা করা হয়নি। শুধুমাত্র উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের দেয়ালে নাম স্বর্বস্ব একটি নোটিশ দেয়া হয়। নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের সুবিধা দিতে উপজেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইটের নোটিশ বোর্ডে, উপজেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেইজে কিংবা উপজেলা শিক্ষা অফিসের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়নি। ফলে অনেক ব্যবসায়ী নিলামে অংশ নিতে পারেননি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. শহীদুল বারী খান ব্যক্তিগত সুবিধা নিয়েই অতি গোপনে নিলাম প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন বলে জানান তারা। অতি দ্রুত এ অবৈধ নিলাম বাতিলের দাবিও জানান তারা।
এ বিষয়ে জানতে বৃহস্পতিবার উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. শহীদুল বারী খান এর দপ্তরে একাধিক বার গেলেও তিনি মাসিক সমন্বয় মিটিংয়ে আছেন বলে জানানো হয়। পরে বিকেল ৪টায় তার অফিসে গেলে তিনি তার কর্মচারীর মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে সাংবাদিককে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।
নিলামের বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলে তিনি তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করতে বলেন; অন্যথায় কোন তথ্য দিবেন না বলে জানিয়ে দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসাহাক আলী জানান, বিষয়টি সম্পূর্ণ শিক্ষা অফিসের ব্যাপার। আমি সহযোগিতা করেছি মাত্র। নির্ধারিত মূল্য কত টাকা এবং কত টাকায় বিক্রয় হয়েছে বিস্তারিত তথ্য তারাই দিতে পারবে। প্রয়োজন হলে আগামী সোমবার অফিসে আসবেন বিস্তারিত জানাতে পারবো।
আরওপড়ুন ….লাখাইয়ে ৭ সেন্টার কমিটি সাথে মতবিনিময় সভায় জি কে গউছ ॥ আপনারা ধানের শীষ আমি আপনাদের ঋণ পরিশোধ।
Subscribe to get the latest posts sent to your email.