নিজেস্ব প্রতিনিধি।।
লাখাই উপজেলার ১নং ইউনিয়নের অবস্থিত সুতাং নদীতে অবৈধভাবে ঘের ঝাক তৈরি করে মাছ শিকার করা হচ্ছে। মাছের বংশ ধ্বংস করা হচ্ছে। এতে নদীর পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে স্থানীয়রা। তবে ঘের ঝাক উচ্ছেদ বা প্রশাসনের তেমন কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি। নদীতে গরু পাড়াপাড়ে রাস্তার মধ্যে ঝাক থাকায় বাস কাঠার ঝাকে আটকে পড়ে ৮ টি গরু মারা যায়। জানা গেছে, লাখাই উপজেলার ১নং ইউনিয়নে সুতাং নদীতে লাখাই উপজেলা মৎস্য জীবি লীগের সাধারণ সম্পাদক নিরেঞ্জন দাস ও লাখাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক প্রিয়তোষ দাস এর নেতৃত্বে এই প্রভাবশালী মহল অবৈধভাবে ঘের ঝাক তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে মাছ শিকার করছে। স্থানীয়ভাবে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে নদী নালা বিল এখনো তাদের দখলে রয়েছে। তাদের ভয়ে এখনো সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। নদীর পানি প্রবাহ বন্ধ করে জাল দিয়ে ঘের তৈরি করে তারা মাছ শিকার করছে। এতে করে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। সুতাং নদীতে বেশ কয়েক কিলোমিটার জায়গা দখল করে রাখায় যেকোনো সময় ঘটতে পারে নৌ দুর্ঘটনা। লাখাই ১নং ইউনিয়নের স্বজনগ্রাম শিবপুর সীমান্ত থেকে পশ্চিম দিকে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম এলাকা পর্যন্ত কয়েকশ’ মাছের ঘের ঝাক তৈরি করে পুরো নদীকেই দখল করে রেখেছে প্রভাবশালীরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন জেলে ও এলাকাবাসী জানান, এলাকার গরিব জেলেদের মাছ ধরতে দেয়া হয় না।
আওয়ামী মৎস্য জীবি লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক নদীতে ঘের ঝাক তৈরি করে মাছ ধরছে। এ নিয়ে কথা বললে তাদেরকে মারধর এবং নানা হুমকি-ধমকি প্রদান করা হয়। এতে ভয়ে কেউ মুখ খোলে না।
বিএনপি নেতা আজিজুল হক বলেন, সুতাং নদীতে অবৈধভাবে অসংখ্য মাছের ঘের ঝাক থাকায় নৌ চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। জলাশয় উন্মুক্ত থাকলে এলাকার গরিব জেলেরা মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে।
লাখাই স্বজনগ্রাম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ নান্নু মিয়া বলেন, নদীতে ঝাঁক ঘের আছে, তবে ওই সমস্ত ঘের ঝাক উচ্ছেদে অভিযান পুলিশের নয়। এগুলি মৎস্য কর্মকর্তা করবে।
এ ব্যাপারে লাখাই উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কোনিক চন্দ্র শর্মা বলেন আমরা ঈদের পরে একটি অভিযান শুরু করব অবৈধ সব ঝাঁক উঠিয়ে দেওয়া হবে।
Subscribe to get the latest posts sent to your email.